মাদারীপুরে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

মাদারীপুর প্রতিনিধি ঃ
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুরে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
এসকানদার খান (৫০) নামের ওই ব্যক্তি শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে কালকিনি থানার ওসি মো. নাজমুল হাসান জানান। এসকানদার ওই উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ভাটোবালী গ্রামের আমির খানের ছেলে। তিনি মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কালকিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য তহমিনা বেগমের পক্ষের কর্মী ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন এসকান্দার। সে সময় তার ওপর হামলা হয়। হামলাকারীরা তাকে হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় এসকানদারকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার দুপুরে সেখানেই তিনি মারা যান। কালকিনি থানার ওসি নাজমুল হাসান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য এলাকার বেশ কয়েকটি স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার স্বতন্ত্র প্রার্থী তহামিনা বেগমের ঈগল মার্কার মিছিলে হাত বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে; এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এরপর শুক্রবার দুপুরে মিছিলে হাতবোমা হামলার ঘটনায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের সমর্থক তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজীর ভাই কাজী মোফাজ্জেল হোসেন। এতে নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের সমর্থক ফজলুল হক বেপারীসহ ৫৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত এসকান্দার খানের ভাতিজা হালিমা খাতুন বলেন, ‘আমরা আগে ফজলুল হক বেপারীর দল করতাম। কিন্তু এবার আমার চাচা ফজলুল হকের দল ছেড়ে তাহমিনা বেগমের দল করছি। এই দলাদলি নিয়ে আগেও আমার ভাইকে একবার ফজুলল হকের লোকজন মারধর করেছে। এখন আমার চাচাকে খুন করে ফেললো। আমার আমার চাচার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। নিহতের ভাতিজা সোবাহান খান বলেন. ‘আমার চাচাকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে দুই পায়ের রগ কেটেছে। এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধড়ক ভাবে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই। এই বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আওয়াল হাসান বলেন, ‘আমার এই ঘটনায় কারা কারা জড়িত থাকতে পারে, তা নিয়ে তদন্ত করছি। এবং দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।’