স্থানীয় সংবাদ

শীতকালিন সবজির দাম কম থাকলেও আলু ডিমের দাম চড়া

শেখ ফেরদৌস রহমান : শীতকালীন সব ধরণের সবজি হাতের নাগালে পাওয়া যাচ্ছে তাই দামও অনেকটা কম। এ দিকে এক আইটেমের দাম কমতে কমতে অন্য আইটেমের দাম বেড়ে যায়। এছাড়া নতুন আলু বাজারে এলেও পুরোনো আলুর দাম এখনো কমেনি। মানভেদে নতুন আলুর দাম ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সে তুলনায় পুরোনো আলু এখনো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। বিক্রেতারা বলছেন, নতুন আলু আসার পরও এখনো আলুর বাজার চড়া, যে ধরণের পরিস্থিতি গত কয়েক বছরে দেখা যায়নি। মুরগির ডিমের দাম অবশ্য ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে। পাশাপাশি ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বেড়ে হয়েছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা ডজন। মুরগি ও গরুর মাংসের দামে পরিবর্তন দেখা যায়নি। এদিকে গেল দুই সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দাম একই। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি নতুন পেয়াজের বিক্রি হয় ৯০-১০০ টাকা। পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা প্রতিকেজি। পাশাপাশি প্রতিকেজি দেশি রসুন বিক্রি হয় ২৭০ টাকা কেজি দরে যা এক সপ্তাহ আগে ২০০ টাকা বিক্রি হয়। এছাড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দার মতো নিত্যপণ্যের বাজারে তেমন পরিবর্তন নেই। চাষের রুই এবং পাঙাশ ও তেলাপিয়ার দামও আগের মতো রয়েছে। খুলনা নিউ মার্কেট এলাকার বাজারের ক্রেতা আমিদি হোসেন বলেন, বাজারে আসলেই মাথা খারাপ হয়ে যায়। এক আইটেমের দাম কমলে আরেক আইটেমের দাম বেড়ে যায়। দেখেন নতুন আলু বাজারে আসার পরেও আলুর দাম এখনো কমছে না। পেঁয়াজের দাম এখন কমের দিকে আবার বাজারে এসে দেখি ডিমের দাম বেড়ে গেছে। এক ক্রেতা মরিয়াম বেগম বলেন, পেঁয়াজের দাম এতো তাড়াতাড়ি কমে যাবে তা সত্যিই আমি ভাবতে পারিনি। যাক বাজার করতে এসে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি। তবে বিক্রেতারা বলছেন অন্য কথা। তাদের দাবি, একটি চক্র দাম বাড়ায়- কমায়। এ বিষযে চিত্রালি বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, আমরা কি করবো আমরা যে দামে কিনি সে দামে কি আর বিক্রি করলে সংসার চলবে ভাই। ব্যবসা কোন রকম টিকিয়ে রাখতেই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমাদের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি বাজার মূল্য বৃদ্ধির চক্রকে ধংস করতে পারে তাহলে বাজারের দাম সবসময়েই হাতের নাগালে থাকবে। এছাড়া একটি কঠোর আইন করে নিত্যপণ্যের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে ফেলতে হবে। না হলে আমাদের মত নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষের অবস্থা আরও বেশি খারাপ হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button