শীতের প্রভাবে ফল দোকানে ক্রেতা নেই : লোকশানে ব্যাবসায়িরা

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ গেল কয়েকদিন যাবৎ শীতের দাপটে চরম দুর্ভোগে জনজীবন। যে কারণে একটু বেশি প্রভাব পড়েছে ফলের দোকান গুলোতে। বেচা-বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। পাশাপাশি দাম ও আগের মত। ব্যাবসায়িরা আগের থেকে আমদানী করা বিভিন্ন প্রকার ফলগুলো এখন খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে গেছে। কমলা আপেলসহ অন্যান্য ফল দীর্ঘদিন বিক্রি না হওয়ার কারণে ব্যাকটেরিয়া ফাঙ্গাস তৈরি হয়ে গেছে। পাকিস্তান, সাউথ আফ্রিকা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা ফল গুলো এখন পচন ধরতে শুরু করেছে। নগরীর বিভিন্ন ফল বাজারে দেখা গেছে এমন চিত্র ব্যবসায়িরা বেচা-বিক্রি না থাকায় হতাশাগ্রস্ত। প্রতি কেজি সবুজ আপেল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়, লাল আপেল ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমলার কেজি ২৮০ থেকে ৩২০ টাকার মধ্যে তবে আকার ভেদে কম দামেও বিক্রি হচ্ছে। সবুজ আঙুর ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা ও লাল আঙ্গুর ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাল্টার কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা। দেশি ফলের মধ্যে পেয়ারার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। মাঝারি ও বড় আকারের আনারসের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এবিষয়ে নিউমার্কেট এলাকার ফল ব্যাবসায়ি বলেন, সারাদিন ৫ হাজার টাকাও বেচা-বিক্রি নেই। দেখেন কোন ক্রেতা নেই। এই তিব্র শীতে ফলের চাহিদা কমেছে মানুষের কাছে। আগে প্রতিদিন ২০ হাজার টাকার বেশি বিক্রি হত বিভিন্ন ফল। এছাড়া আমরা এই ফল গুলো বড়বাজার থেকে পাইকারী দরে ক্রয় করছি। আগের তুলনায় ফলের দাম সামান্য একটু কম তবে বিক্রি না থাকায় হতাশ। দোকানে এখন কোন কর্মচারী নেই। আমি একা বসে আছি। ক্রেতা দেখা খুব কম হচ্ছে। একই কথা বলেন, খালিশপুর বিআইডিসি এলাকার ফল ব্যবসায়ি তিনি বলেন, সারাদিনে দুই হাজার টাকার ফল বিক্রি হচ্ছেনা। জরুরীর ভিত্তিতে অসুস্থ্য মানুষের জন্য যদি ফল ক্রয় করতে আসে। তবে এই তিব্র ঠান্ডায় এখন সখ করে ও কেউ ফল ক্রয় করছেনা। শীতেও কেন ফলের দাম চড়া তিনি বলেন, এসব ফলগুলো আগের থেকে আমদানি করা। ডলার দাম বৃদ্ধির কারণে ফলের বাজার চড়া। একই সময়ে কথা কমলা লেবু ক্রয় করতে আসা তিশা আক্তারের সাথে তিনি বলেন, বাড়ীতে বড় অসুস্থ্য ভিটামিন সি শরীরে খুব প্রয়োজন। চিকিৎসক বলেছে লেবু, মাল্টাসহ অন্যান্য জাতীয় ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে। যে কারণে কেজি কমলা ও পেয়ারা ক্রয় করব। এই শীতে ফল এমনিতে ঠান্ড থাকে। তারপরও দিনের বেলায় ফল কেটে খাওয়াতে হবে। যেন শরীরে বেশি ঠান্ডা না হয়।