স্থানীয় সংবাদ

বাগেরহাটের চিতলমারীতে নারীর শ্লীলতাহানী ইউপি মেম্বর গ্রেফতার

বাগেরহাট প্রতিনিধি।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় এক নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সালিশ বৈঠক করে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার আদায় করে দিয়ে এক পর্যায়ে বাড়ীতে পৌছে দেয়ার কথা বলে নির্জনে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টাকালে অপুর্ব কুমার মন্ডল ওরফে নিত্য (৩৭) নামের একজন ইউপি মেম্বর গ্রেফতার হয়েছেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর এ ঘটনায় বুধবার ওই নারী চিতলমারী থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই মামলায় গ্রেফতার করে ইউপি মেম্বর অপুর্ব কুমার মন্ডল কে আদালতে প্রেরন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। অপুর্ব কুমার মন্ডল ওরফে নিত্য উপজেলার চরবানিয়ারী গ্রামে ব্রজেন্দ্র নাথ মন্ডলের ছেলে এবং চরবানিয়ার ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বর। বিলম্বে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী মামলার বিবারনে প্রকাশ, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য অপূর্ব কুমার মন্ডল সালিসদার এবং রক্ষাকর্তা হয়ে ওই গৃহবধূকে সাথে নিয়ে তার স্বামীর বাড়ি খুলনার রূপসা উপজেলার একটি গ্রামে যান। সেখানে গিয়ে দীর্ঘ সময়ের সালিস বৈঠক শেষে নগদ ২০ হাজার টাকা ও একটি স্বর্ণের চেইন ও রুপার অলংকার জরিমানা আদায় করেন। ভরা বৈঠকে দায়িত্ব নেন গৃহবধূকে সম্মানের সাথে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার। কথামত গৃহবধূকে মোটর সাইকেলের পিছনে বসিয়ে চিতলমারীর উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাত ৮ টার দিকে চিতলমারী উপজেলার বাখেরগঞ্জ বাজার সংলগ্ন একটি নির্জন এলাকায় পৌঁছে রক্ষক অপূর্ব কুমার মন্ডল ওই নারীকে ধর্ষনের চেষ্টা করেন এবং শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ সময় ওই নারীর ডাক-চিৎকারে এলাকাসি ছূটে এসে অপূর্ব কুমার মন্ডলকে হাতে-নাতে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এক পর্যায়ে ভূক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী ওই নারী বলেন, ‘অপূর্ব কুমার মন্ডল নিত্যকে আমি দাদু বলে ডাকি। অথচ সে আমার মানসম্মান এবং স্বামী সংসার রক্ষার কথা বলে আমাকে রূপসায় নিয়ে যান। রক্ষকর্তা হয়ে সে আমার শ্লীলতাহানী করেছে। সেই সাথে সংসারও ভেঙ্গেছে। আমি ওর উপযুক্ত বিচার চাই। এ বিষয়ে চিতলমারী থানার ওসি মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন গৃহবধূ বাদী হয়ে অভিযোগ দিলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আটককৃত অপূর্ব কুমার মন্ডলকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button