ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ইজিবাইক ও ফুটপাত দখলকারীদের বিরুদ্ধে চলছে কেসিসির কঠোর অভিযান
৩৩ রিক্সার গ্যারেজ মালিককে ১০ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত আল্টিমেটাম; ১৫দিনে ১৩০ রিক্সা আটক
স্টাফ রিপোর্টার ঃ ব্যাটারি চালিত রিক্সা, অবৈধ ইজিবাইক ও ফুটপাত দখলকারীদের বিরুদ্ধে চলছে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মারমুখী অভিযান। কোন ছাড় নয় নীতিতে এসবের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত চলবে। গত ১৫ দিনে কেসিসি অভিযান চালিয়ে ১৩০টি ব্যাটারি চালিত রিক্সা আটক করেছে। শুরু করেছে ফুটপাত দখল মুক্ত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান। ইতোমধ্যে নগরীতে যানজট সহনীয় পর্যায়ে আসতে শুরু করেছে। কোটি টাকা দিয়ে গড়ে তোলা ফুটপাত দখল মুক্ত হতে শুরু করেছে। এদিকে সড়কের পাশাপাশি কেসিসি এবার রিক্সার গ্যারেজের দিকে নজর দিয়েছে। গ্যারেজের কড়া নাড়ছে কেসিসি। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে গ্যারেজ মালিককে নিজ হাতে খুলতে বলা হয়েছে তার অধীনে রাখা সকল রিক্সার ব্যাটারি। নচেৎ কেসিসির অভিযান গ্যারেজ মালিকদের আওতায় আনা হবে। এ জন্য নগরীর ৩৩ রিক্সার গ্যারেজ মালিককে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত কেসিসি আল্টিমেটাম দিয়েছে। কেসিসির সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার মোঃ ফারুখ হোসেন তালুকদার জানান, মেয়রের নির্দেশনায় নগরীর যানজট মুক্ত করণের লক্ষে গত ১৬ জানুয়ারী থেকে নগরীতে ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও অবৈধ ইজিবাইকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়। প্রতিদিনই ১০ থেকে ২০টি করে ব্যাটারি চালিত রিক্সা আটক করছে কেসিসি। ওই রিক্সার ব্যাটারি ও মটর খুলে রেখে রিক্সার চালকদের আবারো রিক্সা লাইসেন্স নবায়ন সাপেক্ষে ফেরৎ দেয়া হচ্ছে। তবে ইজিবাইকের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এ জন্য আটক ইজিবাইক নগর ভবনে পড়ে আছে। গত ১৫ দিনে ১৩০টি ব্যাটারি চালিত রিক্সা আটক করা হয়েছে। সর্বশেষ রবিবার দৌলতপুরে অভিযান করে ১১টি ব্যাটারি চালিত রিক্সা আটক করা হয়েছে। একই সাথে এবার রিক্সার গ্যারেজ মালিকদের এ ব্যাপারে চিঠি দেয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে নিজ উদ্যোগে তার অধীনে রিক্সার ব্যাটারি ও মটর খুলে ফেলার জন্য বলা হয়েছে। নচেৎ গ্যারেজ ও মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেসিসির প্রধান রাজস্ব অফিসার গত ১ ফেব্রুয়ারী চিঠি স্বাক্ষর করেছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে কেসিসি নগরবাসীকে স্বাচ্ছন্দে চলাচলের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে দৃষ্টিনন্দন ফুটপাত করেছেন। কিন্তু সেই সাজানো টাইস দেয়া ফুটপাত দখলদাররা দখল করে নিয়েছে। এদের বিরুদ্ধে কেসিসি সম্প্রতি অভিযানে নেমেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার সকালে তারা নগরীতে অর্ধ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে নগরীর নিউ মার্কেট, জোড়াগেট থেকে বয়রা কলেজ মোড়, জলিল স্মরণী, মুজগুন্নী মহাসড়ক, আবু নাসের হাসপাতালের সামনের সড়কে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কেসিসির এষ্টেট অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান তালুকদার এ অভিযানে অংশ নেন। তিনি বলেন, তারা বুলডোজার দিয়ে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছেন। আজ সোমবার নগরীর খালিশপুর বিআইডিসি সড়কে অভিযান চালাবেন। তবে শ্রমিক এলাকা বলে অভিযানে প্রস্তুতি আগেভাগে নিয়ে রেখেছেন বলে জানান। ফুটপাত দখল মুক্ত করতে কোন ছাড় নয় বলে মেয়র তাদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। এ অভিযান জনস্বার্থে অব্যাহতভাবে চলবে বলে তিনি জানান।