সাধারণ গাড়িতে ব্যাবহার হচ্ছে হুটার হর্ণ ও উচ্চ শব্দের বাইক সাইলেন্সার

শেখ ফেরদৌস রহমান : সম্প্রতি সময়ে খুলনা সড়কে দেখা মিলছে ভিআইপি গাড়ি হুটার হর্ণ ব্যবহার ও মোটরসাইকেল এর উচ্চ শব্দের সাইলেন্সার ব্যবহার। উঠতি বয়সি কিশোরদের হাতে থাকা এসব মোটর বাইক গুলোতে থাকা উচ্চ শব্দের হর্ণ ব্যবহারে আতংক সৃষ্টি করছে সড়কে। পাশাপাশি বাস্তবে দেখা যাচ্ছে প্রশাসনের কোন পদে না থেকে অথবা মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য না হয়েও নিজেদের দামী গাড়িতে সংযুক্ত করেছেন ভিআইপিদের জন্য প্রযোজ্য হুটার হর্ণ ব্যবহার শুধু ভিআইপি হর্ণ সংযুক্ত। পুলিশ ফায়ার সার্ভিস বা অনুমোদতি সরকারির সংস্থার জন্য ব্যবহৃত স্টোব লাইট বা লাল-নীল সিগন্যাল লাইট এর ব্যবহার। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে শহরের ব্যস্ততম সড়ক দিয়ে ব্যাক্তিগত কাজে ব্যবহৃত এসব গাড়ি উচ্চ শব্দে হুটার হর্ণ বাজিয়ে, সিগন্যাল লাইট জ্বালিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে। মুলতঃ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সর্ভিস, অ্যাম্বুলেন্সসহ সুনির্দিষ্ট যানবাহনের ক্ষেত্রে আলাদা হর্ণ, সাইরেন ইত্যাদি সংযোজনের বিধান রয়েছে। এর বাইরে সবার জন্য যানবাহনের হর্ণ নির্দিষ্ট করা আছে। তবে এসব নীতিমালার তোয়াক্কা না করে নগরীতে যত্রতত্র ভিআইপি হুটার হর্ন ও সিগন্যাল লাইট সম্বলিত গাড়ি চলাচল করলেও তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের তেমন কোন নজরদারী পরিলক্ষিত হয়নি। নগরীর বিভিন্ন গাড়ির যন্ত্রাংশ বিক্রি করে এমন সব দোকানে দুই হাজার থেকে দশ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এসব হর্ণ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর নজরদারীর অভাব ও কোন ধরনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ফলে দেদারছে যে কোন ব্যাক্তি ভিআইপি হুটার হর্ন ও স্বল্প মূল্যে পুলিশের গাড়িতে ব্যবহৃত ষ্ট্রোব লাইট ব্যাক্তিগত গাড়ির সামনে সংযুক্ত করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। নানবিধ সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে। এবিষয়ে কথা হয় নগরীর নিউ মার্কেট এলকায় গাড়ী চালক মোঃ মনিরুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন, ভাই এসব ভিআইপি হর্ণ ব্যবহার ও লাইট ব্যবহার করে সাধারনত ক্ষমতার সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালি ব্যক্তি বা তাদের আতœীয় স্বজন এ ধরনের হর্ন ও সিগন্যাল লাইট লাগিয়ে গাড়ি নিয়ে চলাচলের সময় অনৈতিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করেন। সড়কে চলাচলরত পথচারীরা দৈনিক প্রবাহকে জানান, এ ধরনের সিগন্যাল লাইট ও হর্ন ব্যাবহার করার ফলে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এতে করে বিভিন্ন সময়ে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার প্রবণতা আছে। এছাড়া হুটার হর্ন ব্যবহার করলে যে কর্কশ ঝাঝালো শব্দ তরঙ্গের সৃষ্টি হয় তা রীতিমত শব্দ দূষনের কারণ। এদিকে নগরীতে শব্দ দূষনের কারণ হিসেবে আরেকটি নতুন গোষ্ঠি তৈরি হয়েছে যারা উঠতি বয়সের মোটরসাইকেল রাইডার। মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার পাইপ খুলে উচ্চ শব্দে বাইক চালিয়ে তীব্রমাত্রায় শব্দ দূষণ করছে এক শ্রেণীর বাইকার। বাইকের এ ধরনের শব্দ পরিবর্তন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে সম্পূর্ন বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে দিনের পর দিন নগরীর রাস্তায় এধরনের বেআইনি কার্যকলাপ চলে আসলেও নেই পুলিশ প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ। ভুক্তোভোগী সাধারন মানুষ মনে করেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এ ধরেনর অপরাধের যথাযথ নজরদারী প্রয়োজন। এ বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ডিসি মনিরা সুলতানা বলেন, আমরা কমিশনার স্যারের নির্দেশনায় ট্রাফিক বিভাগ এখন কঠোর অবস্থানে আছি। আমরা অভিযান অব্যহত রাখছি। সাধারণ কোন গাড়ীতে এসব হর্ণ বা মোটরসাইকেলে উচ্চ শব্দের হর্ণ ব্যবহার নিষেধ আছে। আমরা বিষয়টি দেখছি দ্রুত । এ বিষয়ে নজরদারি করছি।