রূপসায় কলেজ শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত : থানায় অভিযোগ
রূপসা প্রতিনিধি ঃ রূপসা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এতে বাধা দেওয়ায় কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত হয়েছেন। এঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। ০৯ মার্চ সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা গেছে, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা পল্লীর শ্রাবন্তি মিত্র রূপসা ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকে ওই কলেজের শিক্ষার্থী বাগমারা গ্রামের পনু খানের ছেলে সাকিবের কুনজর পড়ে তার উপর। প্রতিনিয়ত তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকে। এমনকি তার ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রেমের প্রস্তাবসহ অশালীন কথাবার্তা লিখতে থাকে সাকিব। দিনের পর দিন এ অবস্থা চলার একপর্যায় শিক্ষার্থী শ্রাবন্তি মিত্র অধ্যক্ষ ফ, ম, আ, সালামের নিকট লিখিত অভিযোগ করে। এ ব্যাপারে সুষ্ঠ সমাধানারে লক্ষ্যে ৯ মার্চ সকালে সাকিব ও শ্রাবন্তিকে নিয়ে আলোচনায় বসার উদ্যোগ নেন অধ্যক্ষ ফ, ম, আ,সালাম। অফিস কক্ষের সামনের কলেজ ক্যাম্পাসে উক্ত সাবিক একই এলাকার এনামুল মীরকে সাথে নিয়ে এসে শ্রাবন্তিকে প্রেমের জালে ফাঁসাতে জবদস্তি করতে থাকে। এতে বাধা দিলে অধ্যক্ষ ফ, ম আব্দুস সালামকে লাঞ্ছিত করে ওই দুই যুবক। অধ্যক্ষের ডাক চিৎকারে অন্যান্য শিক্ষক ও কলেজ স্টাফরা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
কলেজ অধ্যক্ষ ফ, ম আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী শ্রাবন্তিকে প্রেমের জালে ফাঁসাতে না পেরে তাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দেওয়ায় আমার উপরও তারা চড়াও হয়। এবিষয় ওই শিক্ষার্থী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। তিনি ওইসব বখাটেদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এনামুল মীর বলেন, ঘটনার সময় সাকিবের জামার কলার ধরে অধ্যক্ষ ফ, ম আব্দুস সালাম টানতে টানতে নিয়ে যেতে থাকে। এনিয়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। যা কলেজের গেটে দাঁড়িয়ে আমি দেখেছি। কলেজের ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। কলেজ অধ্যক্ষ ওই শিক্ষার্থীকে দিয়ে সাজানো মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে।
রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শওকত কবির বলেন রূপসা ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।