স্থানীয় সংবাদ

ওয়েভ ফাউন্ডেশনের এসপিপিএস প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

খবর বিজ্ঞপ্তি : সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ১৮-৫০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের জন্য সার্বজনীন পেনশন স্কিম পাস করেছে এবং সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করেছে। সার্বজনীন পেনশন স্কিমসহ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বিতরণ সরবরাহ শক্তিশালী করা, দৃঢ় রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি এবং চাহিদা ভিত্তিক নীতি, নির্দেশিকা, নিয়ম ও প্রবিধানের জন্য চেষ্টা থাকা প্রয়োজন। এই লক্ষ্য অর্জনে ওয়েভ ফাউন্ডেশন ফেব্রুয়ারি থেকে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা উন্নীতকরণ (এসপিপিএস) প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের অধীনে খুলনায় ১৯ ও ২০ মার্চ ২০২৪, কারিতাস, খুলনা বাংলাদেশ- এ ‘টহরাবৎংধষ চবহংরড়হ ঝপযবসব(টচঝ)’ শীর্ষক এক কর্মশালা আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় সার্বজনীন পেনশন স্কিমের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার বিষয়ে জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সচেতনতা এবং সক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে একটি ঐক্যমত তৈরির প্রক্রিয়া এবং সম্মিলিত পদক্ষেপগুলি ত্বরান্বিতকরণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। কর্মশালার শুরুতে আয়োজকের পক্ষে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের পরিচিতি এবং স্বাগত বক্তব্য উপ¯’াপনা করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম। এই প্রকল্পের এবং কর্মশালার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের এসপিপি প্রকল্প সমন্বয়কারী মীর মোস্তাক আহমেদ। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী হিসেবে উপ¯ি’ত ছিলেন ছাকেরা বানু, গ্রীন নারী কল্যান, আফরোজা ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক, বনফুল, অ্যাড মমিনুল ইসলাম, সমন্বয়কারী, ইঝঐঊজ, কযঁষহধ, এ ম মোস্তাফিজুর রহমান, হেড অব প্রোগ্রাম, নবলোক, মোঃ লুৎফর রহমান, আঞ্চলিক ব্যব¯’াপক, এনজিও ফোরাম খুলনা, মিডিয়া, ¯’ানীয় লোকমোর্চার সদস্য এ্বং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ। দিনব্যাপি কর্মশালাটি পরিচালনা করেন গবেষক আহমেদ বোরহান।
বাংলাদেশ ২০৩১ অর্থবছরের মধ্যে অতি দারিদ্র্য দূর করা, এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনের জন্য একটি রোড ম্যাপ নির্ধারণ করেছে। দারিদ্র্য বিমোচন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো (এসডিজি) পূরণে সরকার প্রশংসনীয় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। সানেমের (সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং) সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে উচ্চ দারিদ্র্যের হার ২০১৮ সালে ২১.৬% ছিল তা ২০২০ সালে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৪২.০% এ দাঁড়িয়েছে, এবং নিম্ম দারিদ্র্যের হার ২০১৮ সালে ৯.৪% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২০ সালে ২৮.৫% হয়েছে অর্থাৎ তিনগুন হয়েছে। উল্লেখিত তথ্যসমুহ এসপিপিগুলোর কার্যকর বাস্তবায়নের দাবি করে। যদিও গত বছরের বাজেটে বরাদ্দের সামান্য বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছিল, যা সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অগ্রসর করার বিষয়ে সরকারের একটি ইতিবাচক মনোভাব প্রতিফলিত করে। কিন্তু বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনও এই কর্মসূচির আওতায় পড়েনি। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button