খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ১২ শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি : থানায় জিডি

সুন্দরবন কুরিয়ার গুলশান শাখা থেকে বুকিং দেওয়া হয় চিঠি গুলো
খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধিঃ কাফনের কাপড় পাঠিয়ে খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ বিরোধী ১২ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ২৪ মার্চ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস যোগে বেনামে আসা চিঠির খামের মধ্যে প্রস্তুত থাকিস লেখা সাদা একটি কাগজের সাথে পিন লাগানো এক টুকরা সাদা কাফনের কাপড় সংযুক্ত ছিল। আড়ংঘাটা থানা থানায় এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের ইন্সটেক্টর মো. রিয়াজ শরীফ একটি সাধারণ ডায়রী করা করেছে। হুমকি পাওয়া শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলো প্রতিষ্ঠানের ইন্সটেক্টর মো. রিয়াজ শরীফ, ইন্সটেক্টর সৈয়দ মো. কামাল উদ্দিন, ইন্সটেক্টর মো. মাসুদুল ইসলাম, ইন্সটেক্টর মো. মাহাবুবুর রহমান, ইন্সটেক্টর মো. জোবায়দুর রহমান, ইন্সটেক্টর মো. মরুফ আহমেদ, ইন্সটেক্টর মো. আব্দুল হামিদ, ইন্সটেক্টর মো. হযরত আলী বুলেট, ইন্সটেক্টর উন্মেহাবিবা ইসলাম, ইন্সটেক্টর পলক কুমার বিশ্বাস, অফিস সহকারী মো. মনিরুল হক তালুকদার(রাজ), ড্রাইভার মো. আমিনুর সরদার এ বিষয়ে হুমকি পাওয়া শিক্ষকরা জানিয়েছেন যাদের নামে এ ধরনের চিঠি এসেছে তারা সকলেই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছিল । এ বিষয়ে হুমকি পাওয়া প্রতিষ্ঠানে চীফ ইন্সটেক্টর মো. রিয়াজ শরীফ আড়ংঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডাডরী করেছে( জিডি নং -১১৬০,তাং- ২৪/৩/২৪)। জিডিতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলামের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নিতীর বিরুদ্ধে অফিসের অধিকাংশ সবাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। সেই সূত্র ধরে গত ১৯/০২/২০২৪ তারিখ জনাব মারুফ আহমদ (ইন্সট্রাক্টর) কে অজ্ঞাত নামা লোক দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর আহত করায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে জনাব মারুফ আহমদ (ইন্সট্রাক্টর) কাজী বরকতুল ইসলামকে সন্দেহ পূর্বক বিবাদী করে আড়ংঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-৫১৫ তাং- ২০/০২/২০২৪ খ্রিঃ। অদ্য ২৪/০৩/২০২৪ তারিখ সময় অনুমান ১.৩৩ ঘটিকায় সুন্দরবান কুরিয়ার সার্ভিস ফুলবাড়ি গেট শাখা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমি সহ আরো ১১ জনের নামে ডাক আসছে মর্মে জানায়। আমি সহ অণ্যরা ডাক রিসিভ করি এবং ডাক খুলে দেখতে পাই যে, “প্রস্তুত থাকিস” লেখা সম্বলিত ০১ টি সাদা কাগজের সাথে ০১ টুকরো সাদা কাফনের কাপড় সংযুক্ত আছে। আমার ধারনা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলাম প্রান নাশের হুমকী প্রদান করে। এ বিষয়ে উপরোক্ত ১১ জনই ঘটনা সম্পর্কে অবহিত আছেন। বিধায় উক্ত বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন সহ ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য সাধারন ডাইরী করা একান্ত প্রয়োজন। এ বিষয়ে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ফুলবাড়ীগেট শাখা অফিসের স্টাফ আব্বাস জানায়, আড়ংঘাটা থানাধিন তেলিগাতীতে অবস্থিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ১২ শিক্ষকের নামে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ঢাকার গুলশান-২ অফিস থেকে গত ২৩ মার্চ চিঠি গুলো বুকিং করা হয়েছে । ফুলবাড়ীগেট শাখা অফিস থেকে আমরা ২৪ মার্চ চিঠি গুলো ডেরিভারী দেই। খামের উপরে লেখা আছে খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, ঠিকানা সিটি ব্যাংক এন এ লোন শাখা ১০৯, গুলশান এভিনিউ ঢাকা-১২১২। খামের উপর একটি মোবাইল নাম্বার ও দেওয়া আছে। আব্বাস জানায়, যে অফিস থেকে চিঠিটি বুকিং করা হয়েছে সেখানে আমাদের সিসি ক্যামেরা আছে কে পাঠিয়েছে সেটি সনাক্ত করা সম্ভব হতে পারে। এ বিষয়ে জিডি তদন্তকারী কর্মকর্তা আড়ংঘাটা থানার এস আই লুৎফুল হায়দার বলেন, প্রতিষ্ঠানের ১২জন শিক্ষককে কুরিয়ার যোগে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠির মধ্যে একটি সাদা কাগজ যাতে লেখা আছে প্রস্তুত থাকিস এবং সাদা একটি কাপড়ের টুকরা সেটা কাফনের কাপড় কিনা তা এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না।