সমাজসেবা অধিদপ্তরের সেমিনার

স্টাফ রিপোর্টার ঃ সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা ,চ্যালেজ্ঞ ও করণীয় শীর্ষক সেমিনার বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় খালিশপুর শহর সমাজসেবা কার্যালয়-৩ এ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান আলোচক হিসাবে সেমিনারের বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক খান মোতাহার হোসেন। বিশেষ আলোচক ছিলেন খুলনা জেলা সমাজসেবা কার্য্যলয়ের সহকারী পরিচালক শফিকুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন মোঃ মনসুর আলম চৌধুরী,কাউন্সিলর শফিকুল আলম,কাউন্সিলর নাজমুল ইসলাম কালেদ,দৈনিক প্রবাহের স্টাফ রিপোর্টার এম রুহুল আমিন, ৪নং ওয়ার্ড সচিব মিরাজুর ইসলাম, অপূর্ব মন্ডল, জিয়াবুল হোসেন, তানিয়া পারভীন, গোলাম মাওলা খান,এস এম ফারুকী,মাসুদুর রহমান,শায়লা আইরিনও নুরজাহান স্নিগ্ধা সহ অনন্য কর্মকর্তা,কর্মচারীবৃন্দ। প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন খালিশপুর শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের-৩ সমাজসেবা অফিসার মানব রজ্ঞন বাছাড়। প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় খান মোতাহার হোসেন বলেন, সমাজের উপকারভোগী পিছিয়ে পড়া মানুষগুলি বিভিন্ন ভাতার আওতায় আসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরালস প্রচেষ্টায় ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে দেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৯৭-৯৮ সালে শেখ হাসিনার সরকার মাথা পিছু ১ শত টাকা থেকে ভাতা প্্রদান শুরু করেন। সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী দরিদ্র প্রতিবন্ধী,বিধবা,বয়স্কদের সামাজিক নানা সমস্যাগুলো সমাধানের মাধ্যমে তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।বাংলাদেশে জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লক্ষ। বর্তমানে ১ কোটি ১৬ লক্ষ মানুষকে ভাতা দিচ্ছে সরকার। সরকার টু ভাতা ভোগীদের মধ্যে মেল বন্ধন তৈরী করতে হবে। মোবাইলে টাকা তোলা নিয়ে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। সেগুলো তাদেরকে বুঝাতে হবে। তিনি আরো বলেন, ভাতা ভোগীদের টাকা তুলতে কোন সমস্যা যাতে না হয় সেজন্য জনগণকে সচেতন করতে হবে। একটি চক্র পাসওয়ার্ড চেয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করে। প্রতারকরা আপনার পিন নাম্বার দিন আমি আপনাকে টাকা দিচ্ছি ইত্যাদি ইত্যাদি ভাবেই তার পিন নাম্বার নিয়ে এই সাধারন গরিব ভাতা ভোগীদের টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সাধারন ভাতা ভোগীরা যেন কষ্ট না পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।