বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ : খুলনার বিশেষ পিপিকে হাইকোর্টে তলব
স্টাফ রিপোর্টার ঃ এজলাসে স্বাভাবিক বিচারকাজে বাধাগ্রস্ত করা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামকে নিয়ে ন্যক্কারজনক অপপ্রচার ও হেয়প্রতিপন্ন করার অভিযোগে খুলনার বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জহিরুল ইসলাম পলাশকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার রুলসহ এ আদেশ দেন। আগামী ৭ মে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর পলাশকে স্বশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। গত ২৫ মার্চ একটি মামলার শুনানির সময় এজলাসে আইনজীবী জহিরুল ইসলাম পলাশ উচ্চস্বরে বলে উঠেন, এভাবে একটি মামলা শুনানি হলে অন্য মামলা কখন শুনানি হবে? তখন বিচারক বলেন, আপনার মামলা আগে ডাকা হয়েছিলো আপনি আসেননি। যেহেতু কোর্টের কর্মঘণ্টা শেষ হয়নি তাই আপনার শুনানির সময় শেষ হয়নি। তখন জহিরুল ইসলাম উচ্চস্বরে দাম্ভিকতাপূর্ণ আচরণ করেন। এক পর্যায়ে আইনজীবী তমাল কান্তি ঘোষ তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে জহিরুল ইসলাম পলাশ দুঃখ প্রকাশ করলে বিষয়টি সেখানে মিটে যায়। পরবর্তীতে পেশকার তার মামলা ডাকার পর ইতিপূর্বে বাকবিত-া হওয়ায় বিচারক ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলাটি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে পাঠানোর কথা বলেন। তখন জহিরুল ইসলাম পলাশ বিচারকের ব্যক্তিগত, পারিবারিক জীবন এবং উচ্চস্বরে বিভিন্ন কথা বলে এজলাস ত্যাগ করেন। পরে ফেসবুক লাইভে এসে জহিরুল ইসলাম পলাশ ঘটনাটি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেন। এতে বিচারককে দুর্নীতিবাজসহ আরো অনেক বিষয়ে মিথ্যা বানোয়াট এবং সম্মানহানিকর বক্তব্য দেন। এই কার্যকলাপের জন্য ২৭ মার্চ জহিরুল ইসলাম পলাশকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। ২৮ মার্চ জবাব দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন জহিরুল ইসলাম। কিন্তু স্যোশাল মিডিয়ায় দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি। এমন অভিযোগ করে ৩১ মার্চ প্রধান বিচারপতি বরবার ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন বিচারক তরিকুল ইসলাম। পরে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি হাইকোর্ট বিভাগে উপস্থাপনের জন্য ব্যবস্থা নিতে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বলেন। এরপর বিষয়টি আদালতে উপস্থাপিত হওয়ার পর আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।