স্থানীয় সংবাদ

যশোরে মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থীকে চুরির অপবাদে নির্যাতন : মামলা

যশোর ব্যুরো : আবু রাহাদ(১২) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে অবৈধভাবে আটক করার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আহত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর পিতা যশোর সদর উপজেলার বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সাত্তার গাজীর ছেলে রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে শুক্রবার ১৯ এগ্রিল রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামী করেন, ওই গ্রামের শাহাজামাল মোড়লের ছেলে হাসান আলী, সহোদও হোসেন আলী উররফে বুলু ও মৃত গফুর মোড়লের ছেলে শাহাজামাল মোড়লসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,তার ছেলে আবু রাহাদ সতীঘাটা আশরাফুল মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। হাসান আলী কুয়াদা বাজারস্থ মুদি দোকানে মাঝে মধ্যে বাদির ছেলেকে নিয়ে কাজ করিয়ে ছেড়ে দেয়। আবু রাহাদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে জানতে পেরে হাসান আলীকে বাদি ও তার ছোট ভাই তরিকুল ইসলাম নিষেধ করলে হাসান আলী বাদির কথায় কর্নপাত না করে বার বার একই ধরনের কাজ করতে থাকে। বাদি ও তার ভাই নিষেধ করায় হাসান আলী ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাদির ছেলেকে ভাল খাবার খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে গত ১০ এপ্রিল সকার সাড়ে ১১ টায় বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের পুলের উপর হতে মোটর সাইকেলে বাদির ছেলেকে উঠিয়ে কুয়াদা বাজারে হাসান আলীর দোকানের পিছনের রুমের ভিতরে নিয়ে অবৈধভাবে আটক করে রাখে। শাহাজামাল মোড়লের হুকুমে হাসান আলী ও হোসেন আলী টাকা চুরির অপবাদে তারা যা বলবে তাই যতি স্বীকার না করে তাহলে উক্ত আসামীরা বাদির ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে হোসেন আলী লোহার রড দিয়ে আবু রাহাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ীভাবে খুন করার উদ্দেশ্যে আঘাত করে ফোলা জখম করে। হাসান আলী লোহার রড দিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মাথার উপরে ডান ও বাম পায়ের গুড়ালীতে এবং দুই হাতের বাহুতে আঘাত করে হাড় ভাঙ্গা জখম করে। আসামীরা বাদির ছেলেকে পিছনের রুম থেকে তাদের দোকানের সামনে খুটির সাথে বেঁধে রাতে এবং জুতা দিয়ে মারপিট করে। তারা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে টাকা চুরির ঘটনা স্বীকার করতে বাধ্য করে। বাদির ছোট ভাই তরিকুল ইসলাম ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ো স্থানীয় লোকজনের সামনে উদ্ধার করতে গেলে আসামীরা খুন জখমের হুমকী দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বাদি তার ছেলেকে কাছ থেকে ঘটনাশুনে শুক্রবার ১৯ এপ্রিল রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button