স্থানীয় সংবাদ

তিব্র তাপপ্রবাহে এসি এয়ার কুলার চার্জার ফ্যানের চাহিদা তুঙ্গে

সামর্থবানরা ছুঠছে ইলেকট্রনিক শপে

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ খুলনায় হঠাৎ তিব্র তাপ প্রবাহ বইছে। গতকাল খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ৪১ দশামিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠছে। যা এবছরের মধ্যে সব থেকে বেশি তাপপ্রবাহ। যে কারণে তিব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে সামর্থবান মানুষেরা ছুঠছে এসি, এয়ার কুলারসহ চার্জার ফ্যান এর দোকানে। আর বেচা বিক্রির ধুম পড়েছে নগরীর এসব ইলোকট্রনিক পণ্যের দোকানে। এর মধ্যে অধিকাংশ দোকানে এয়ার কুলার সংকট দেখা দিয়েছে। আগের থেকে বিক্রি হওয়াতে ক্রেতারা পাচ্ছেনা স্বল্প দামের কুলার পণ্য। এছাড়া মধ্য ও নি¤œ মধ্য আয়ের মানুষেরা ও সামর্থ অনুযায়ী ছুটছে ইলেকট্রনিক দোকানে। এ বিষয়ে কথা হয় নগরীর শিববাড়ী মোড় এলাকায় একটি ইলেকট্রনিক পণ্যে দোকানে এসি ক্রয় করতে আগ্রহী ক্রেতা নাজমা বেগমের সাথে তিনি বলেন, আমি একটি ছোট চাকরী করছি। আমার এখনও সামর্থ হয়নি এই এসি ক্রয় করার। তারপরও ঘরের ভিতরের অসহনীয় গরমে নাভিশ^াস উঠছে। এছাড়া ঘরে ছোট বাচ্চারা আছে। তিব্র গরমের থেকে বাঁচতে এসেছি। হাতে খুব বেশি টাকা নেই পরিচিত এক ভাইয়ের মাধ্যমে মাসিক কিস্তিতে এই এসি করছি। তবে কিস্তিতে এই পণ্যটির দাম বেশি। এমনিতে প্রতিছরে দাম বৃদ্ধি পায় । বলতে পারেন আগে জীবন বাচিয়ে তারপর অর্থ সঞ্চয়। গরম থেকে বাঁচতে এছাড়া আর কোন উপায় দেখছিনা। তারপরও শহরে তেমন একটা লোডশেডিং হচ্ছেনা। আর যদি গেল বছরের মত ঘন ঘন লোডশেডিংএর কবলে পড়ত নগরবাসী তাহলে তো জীবনটা দুর্বিসহ হয়ে যেত। এছাড়া সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানে এসব এসি, এয়ার কন্ডিশনসহ চার্জার ফ্যান চাহিদা থাকলে স্টক শেষ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে কথা হয় নগরীর দৌলতপুর সিঙ্গার ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানের ব্যবস্থাপক মোঃ নাজমুল হোসেন এর সাথে তিনি বলেন, প্রচন্ড খরতাপে এসি বিক্রি বেশ বেড়েছে। গেল কয়েকদিনের দাবদাহে আমার শপে গড়ে প্রায় ১০০ টির মত এসি বিক্রি হয়েছে। এছাড়া এখন এয়ার কন্ডিশন নেই সেই সাথে চার্জার ফ্যান ও নেই। এগুলো সব বিক্রি হয়ে গেছে। আগের বছরের তুলনায় এবছর বেচা-বিক্রি আরও বেড়েছে। এছাড়া কথা হয় নগরীরর শিববাড়ী মোড় এলাকায় ভিশন ইলেকট্রনিক সামগ্রীর সপ ব্যবস্থাপক মোঃ শাকিল হোসেন’র সাথে তিনি বলেন, আমার শপে এয়ার কন্ডিশন নেই সব বেচা-বিক্রি শেষ তবে পর্যাপ্ত এসি ও চার্যার ফ্যান আছে। প্রতিদিন বেশ বিক্রি হচ্ছে বিশেষ করে এসি। ভাল বিক্রি হচ্ছে। গড়ে প্রতিদিন আট৫ থেকে দশটি এসি বিক্রি হচ্ছে। সব নি¤œ এক টনের এসি ৪৭ হাজার টাকার থেকে দুই টনের ৮৫ হাজার টাকা পর্যন্ত এসি আছে। এছাড়া রয়েছে মাসিক কিস্তিতে পণ্য ক্রয় করার বিশেষ সুযোগ। আমাদের একটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাসিক নির্ধারিত কিস্তি প্রদান করলে অতিরিক্ত কোন টাকা দিতে হয়না। তবে সামর্থহীন শ্রমজীবিরা রয়েছে এই দাবদাহের মধ্যে সব থেবে বেশি বিপদে। এ বিষয়ে কথা হয় চা দোকানী মেহেদী রহমানের সাথে তিনি বলেন, শহরে লোডশেডিং না হলেও উপজেলা পর্যায়ে বেশ লোডশেডিং হচ্ছে। আমার বাড়ীতে চার মাসের বাচ্চা আছে। ঘন ঘন লোডশেডিং আর তিব্র গরমে অসহীন হয়ে উঠছে জীবন। ঘরের মধ্যে টিনের চালে যেন আরও বেশি তাপ। উপরে সিলিং ফ্যানে গরম বাতাস প্রবাহিত হয়। এছাড়া মশার উপদ্রব আছে। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে মাফ করুন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button