কেসিসি কাউন্সিলরের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার ঃ অন্যের জমি দখল করে, মেলা চালানোর নামে অসামাজিক কর্মকান্ডে বাঁধা দেওয়ায়, শেখ ফরহাদ হোসেন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা কেসিসি’র ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিন্টুর বাড়িতে হামলা গুলি বর্ষন ও ভাঙচুর করায় প্রতিবাদে ২১ এপ্রিল রোববার-২৪ সকাল ১১টায় খালিশপুর থানাধীন কাশিপুর রাজধানীর মোড়ে নিজ কার্যালয়ে সাবেক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিন্টুর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে সুলতান মাহমুদ পিন্টু বলেন, মেঘনা গেটে আমার ব্যবসায়িক কার্যালয়ের পূর্ব পাশে জনৈক তানভির হোসেন শান্তদের সম্পত্তি নিয়ে শেখ ফরহাদ হোসেনের দ্বন্দ চলছে। শেখ ফরহাদ হোসেনের অস্ত্র ও পেশী শক্তির ভয়ে তানভির হোসেন শান্ত দৌলতপুর সহকারী আদালতে শেখ ফরহাদ হোসেনকে বিবাদি করে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। যে মামলার নং মিসকেস ৬/২৩। মামলা করার পর তানভির হোসেন শান্ত মামলার নম্বর দিয়ে ওই সম্পত্তির পাশে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। আর এই সাইনবোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে শেখ ফরহাদ হোসেন আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হন। এ ছাড়া পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবং ঈদ পরবর্তি বৈশাখী মেলার আয়োজন করেন বর্তমান ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ খালিদ আহমেদ ও তার চাচা শেখ ফরহাদ হোসেন মেলায় জুয়া, অশ্লীল নৃত্যসহ অসামাজীক কর্মকান্ড না করার অনুরোধ করি। তিনি বলেন, আমি ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর থাকাকালিন আমার ওয়ার্ডে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা তিনটি তেল ডিপোতে শেখ ফরহাদ হোসেন অস্ত্র ও লোকজন নিয়ে বিনা অনুমতিতে মহড়া, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে, কারণে, অকারণে, ডিপো থেকে অর্থ উত্তোলন, যমুনা তেল ডিপোর সহকারী ডিপো কর্মকর্তা খাইরল কবিরকে মারধোর করে। পরবর্তীতে তিনটি তেল ডিপোর কর্মকর্তারা আমার নিকট শেখ ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে হুমকি, ধামকিসহ বহু অভিযোগ করেন। তারা শেখ ফরাহাদ হোসেনের অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেতে তিনটি তেল ডিপোর কর্মকর্তরা জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এর নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। বিপিসি ও মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে যা খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার তথ্য রয়েছে। এ সব কারনে শেখ ফরহাদ হোসেন আমি ও আমার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত ছিল। ঘটনার সময় শেখ ফরহাদ হোসেন তার হাতে থাকা শর্টগান দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য গুলিবর্ষণ করে। ঘটনার পর প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা গুলির খোসা, প্রচুর ইট-পাটকেল সহ রক্তমাখা জামা-কাপড় আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এছাড়া ২০১৩ সালে আমার বাড়ির সামনে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এই শেখ ফরহাদ হোসেনের শর্টগান দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য গুলি করে। তখন এ ঘটনায় আমি সহ আমার ৪/৫ জন সহকর্মী গুলিবিদ্ধ হই। তিনি আরো বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। বর্তমান সরকারের শাসন আমলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্টিত হয়েছে বলেই খুলনার এরশাদ শিকদারের মত কুখ্যাত সন্ত্রাসীর পতন হয়েছে। বর্তমান সরকার সমাজের অসহায়, নির্যাতিত, নিপিড়ীত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আইনের শাসন নিশ্চিত করেছে। গত ১৮ই এপ্রিল ২০২৪ তারিখে আমি ও আমার পরিবারের উপর শেখ ফরহাদ হোসেন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী যে নির্মম অত্যাচার করেছে। ৭নং ওয়ার্ডে অবস্থিত সরকারী তিনটি তেল ডিপো পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা রক্ষা করতে সাংবাদিক, প্রশাসনের ও এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ১৮ তারিখ হামলায় আহত সাবেক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিন্টুর চাচা শেখ মিজান, শেখ আজিজুল, শেখ গোলাম রসূল, শেখ মুহিদুল ইসলাম, আমানত বিশ্বাস, হান্নান শেখ, শেখ রেহানা বেগম, শেখ জলি বেগম, শেখ কেয়া বেগম, শেখ তারেক, বাবু শেখ সহ পরিবারের সদস্য ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আনুমানিক বেলা দেড় টায় শেখ ফরহাদ হোসেনের নির্দেশে তানভির হোসেন শান্তর লাগানো সাইনবোর্ড ভেঙ্গে নিয়ে যায় তার সন্ত্রাসী বাহিনী। জমিজমা নিয়ে দ্বন্দের জেরে ওই দিন বেলা পৌনে ২ টায় শেখ ফরহাদ হোসেনের প্রকাশ্যে নেতৃত্বে ৪০/৫০ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শর্টগান, রামদা, লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে আমার বাসভবনে হামলা করে। সন্ত্রাসীরা বৃস্টির মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে, রামদা দিয়ে কুপিয়ে আমার বাসভনের দক্ষিন ও উত্তর পাশের গেট ক্ষতিসাধন করে। তারা বাড়ীর মহিলাদের উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ঘটনার সময় কাউন্সিলরের চাচা শেখ মিজানুর রহমান মিজান (৫৫), চাচাতো ভাই শেখ রহিম হোসেন বাবু (৪৫) ও শেখ জিসান (২০) তাদেরকে ঠেকাতে এলে শেখ ফরহাদ হোসেন সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা ও লোহার রড দিয়ে তাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এর পর তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।২৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং-২০ । তারিখ-১৮-০৪-২৪।