খুলনার দুই উপজেলায় তরমুজের ব্যাপক ফলন হলেও তিব্র গরমে দাম চড়া

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ খুলনা জেলার দাকোপ বাজুয়া, বটিয়াঘাটা অঞ্চলের তরমুজ বাজারে আসতে শুরু করেছে ফলন ও বেশ ভাল হয়েছে। তবে উৎপাদিত এই তরমুজের পর্যাপ্ত সরবরাহ আর ব্যাপক ফলন থাকলেও তিব্র গরমে দাম বেশ চড়া। খুলনা দক্ষিণাঞ্চলের রসালো আর মিষ্টি তরমুজের খেতে সুস্বাদু রসালো এই মিষ্টি তরমুজের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। খুলনা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য গেল বছরে খুলনা জেলার দক্ষিণাঞ্চলের দাকোপ, বটিয়াঘাটা এলাকায় এবছর প্রায় ১২ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। যা গেল বছরের তুলনায় প্রায় ১ হাজারে বেশি হেক্টর কম জমিতে এই তরমুজ চাষ করা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন বাজারে ও ভ্রাম্যমান ভ্যানে করে তরমুজ বিক্রি শুরু হয়েছে। অধিকাংশ তরমুজ গুলো আকারে ৩ থেকে ৪ কেজির মত। খুলনা দাকোপ কামার খোলা এলাকায় তরমুজ আবাদ করেছেন মোঃ সোহেল তাজ তিনি বলেন, এবছর তরমুজরে আবাদ ভাল হয়েছে। এতে করে তরমুজ ফলন বেশ ভাল । বর্তমানে ঘন ফল যুক্ত প্রতি বিঘা তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে ১ লাখ টাকার উপরে। গতকাল ১৩ বিঘার একটি তরমুজের আবাদ বিক্রি হয়েছে ১৪ লাখ টাকায়। তবে প্রতি বিঘায় অত্যন্ত ৮শ থেকে ১০০০ তরমুজের ফলন থাকতে হবে। আবার এমন বিঘা আছে বিঘা প্রতি ৩শ থেকে ৪শ তরমুজ উৎপাদন হয়েছে এসব আবার কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অনেকে আছে কৃষকের নিজস্ব কোন ফসলি জমি না থাকলেও অন্যের জমি বর্গা নিয়ে তরমুজ চাষ করছে। এই তরমুজের আবাদে কষ্ট করেছে ভাল ফলন হয়নি। মূলত: প্রথমে বীজ বপনের আগে জমিতে চাষ মই এবং সার দিয়ে জমিটি উচু চওড়া চাষযোগ্য জমি তৈরি হয়ে গেলে মাদা তৈরি করে নিতে হবে। তাছাড়া কোন ধরনের পোকা লাগল কিনা সেদিক নজর রাখতে হয় সার্বক্ষিনক সময়। এ বছর খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা মত। গেল বছরের তুলনায় বীজ, সার সহ অন্যান্য খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও গরমে কাজ করতে হাফিয়ে উঠছে শ্রমিকরা। যে কারণে তরমুজের দাম একটু চড়া থাকতে পারে। পাশাপাশি এই তরমুজের চাহিদা এখন সারা দেশে মহাজনেরা এসে পুরো আবাদি জমির তরমুজ ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠিয়ে দিচ্ছে। এবিষয়ে খুলনা নিউমার্কেট এলাকায় কথা হয় ক্রেতা মো. মোস্তাক হোসেন এর সাথে তিনি বলেন, বাজারে বর্তমান বরিশালের কুয়াকাটা এলাকায় উৎপাদিত তরমুজের কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা করে কেজি দরে বিক্রি হয়। অথচ আমাদের পাশের উপজেলায় দাকোপ, ডুমুুরিয়া উপজেলায় উৎপাদিত তরমুজের কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুলত এই অঞ্চলের তরমুজ খেতে খুবই সুস্বাদু ও রসালো যে কারণে তরমুজের চাহিদা আছে। গরীব নি¤œ আয়ের মানুষেরা যেন খেতে পারে তরমুজ এর জন্য দাম কমিয়ে রাখা উচিত।