দৃশ্যমান হচ্ছে দৌলতপুরে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ফুটওভার ব্রিজ

নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা
এম রুহুল আমিন ঃ দৃশ্যমান হচ্ছে দৌলতপুরে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ফুটওভার ব্রিজ। খুলনা যশোর মহাসড়কের দৌলতপুর থানাধীন সরকারি বি এল কলেজের সামনে নির্মিত হচ্ছে এই দৃষ্টিনন্দন ফুট ওভার ব্রিজ। ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ কাজ দ্রত গতিতে এগিয়ে চলেছে। কার্যাদেশ অনুযায়ী চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর-২৩ এ মধ্যে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ করে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার কথা থাকলেও বিদ্যুত কোম্পানীর গাফলতির কারনে নিদিষ্ট সময়ে শেষ করা যাচ্ছেনা বলে জানান কর্তৃপক্ষ। ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে শেষের দিকে। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৬৮ হাজার ৪১৬ টাকা। ব্রিজটি নির্মাণের জন্য বাস্তবায়নকারী সংস্থা খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) চলতি বছরের ২৯ মে কংক্রিট এন্ড ষ্টীল টেকনোলজি লিঃ, আবিদ মনসুর কনস্ট্রাকশন (জেভি) নামে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করে। ব্রিজটি নির্মিত হলে সরকারি বিএল কলেজ, দৌলতপুর (দিবা/নৈশ্য )কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ পথচারীদের পারাপারের সুফল বয়ে আনবে। দৌলতপুর সরকারি বি এল কলেজের সামনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে গত ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুর কাদেরের কাছে ডিও লেটার প্রদান করেন। সিটি মেয়রের ডিও লেটার এর প্রেক্ষিতে খুলনা সড়ক জনপথ বিভাগ (সওজ) থেকে ওই স্থানে ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এবং সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রেরণ করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে ব্রিজটি নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৬৮ হাজার ৪১৬ টাকা।খুলনা-যশোর জাতীয় মহাসড়কটি বিভাগীয় শহর খুলনার সাথে মোংলা সমুদ্রবন্দর, বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দর সহ সমগ্র বাংলাদেশের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সড়কটির গুরুত্ব অপরিসীম। পদ্মা সেতুর নির্মাণের ফলে বিভাগীয় শহর খুলনা হতে গোপালগঞ্জ হয়ে রাজধানী ঢাকা যাওয়ার ক্ষেত্রে সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সরজমিনে দেখা যায়, “বিএল কলেজের সামনে ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ কাজ দ্রত গতিতে এগিয়ে চলেছে। খুলনা যশোর মহাসড়কের পশ্চিম পাশে মনা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে নির্মাণ করা হয়েছে। জন সাধারনের উঠা নামার জন্য সিড়ি নির্মান করা হবে রাস্তার পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে।এক পান্তে ২ টি করে সিড়ি থাকবে। খুলনা সওজ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী গোপাল কুমার সাহা বলেন,সরকারি বি এল কলেজের সামনে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ফুট ওভার ব্রিজের স্টিলের প্লেটসহ যাবতীয় নির্মান কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।কিন্তু ব্রিজের উপর দিয়ে বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টেজের লাইন থাকার কারনে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি শেষ করতে পারছে না।বিদ্যুতের তার সরানোর জন্য বিদ্যুত বিভাগ কে তাদের কাজের সমস্ত টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। ব্রিজের ২ পাশ থেকে তার গুলো অপসারন করা না হলে কাজ করা যাচ্ছে না। । ফুট ওভার ব্রিজের বিষয়ে ব্রিজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান কংক্রিট এন্ড স্টিল টেকনোলজি লিঃ এর প্রকল্পের প্রকৌশলী মোঃ শওকাত হায়াত মাহমুদ জানান ,আমাদের ব্রিজের সমস্ত মালামাল আমরা নিয়ে এসেছি। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ ওজোপাডিকো হাইভোল্টেজ বিদ্যুতের তার দুই পাশে থাকার কারণে আমরা কাজটি করতে পারছিনা। যত দ্রুত বিদ্যুতের তার গুলো সরানো হবে, ততো দ্রুতই ব্রিজের কাজটি আমরা সম্পূর্ণ করতে পারবো। ওজোপাডিকো বিভাগ-২ নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের উক্ত কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। নির্ধারিত যে ঠিকাদার কাজটি পাবেন, তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যেই কাজটি সম্পন্ন করে দেবেন। তবে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ কাজটি করতে ৫/৭ দিন সময় লাগবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই সময় লেগে গিয়েছে। তবে অল্প সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হবে। সড়কটির খুলনা নগরীর দৌলতপুর নামক স্থানে বিএল কলেজসহ এর সামনে সেফ এন্ড সেইভ শপিং সেন্টারসহ(বর্তমানে নাম পরিবর্তন করে মনা) আরও বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাজার হাজার দোকানপাটসহ অনেকগুলি যাত্রী পরিবহন কাউন্টার রয়েছে। যেখান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচলের কারণে বিশেষ করে সড়ক পারাপার হওয়ার সময় ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে। ওই স্থানে সুষ্ঠু যানবাহন চলাচল তথা জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরি প্রয়োজন।