স্থানীয় সংবাদ

খুমেক হাসপাতালে নেই সুপারভাইজারের পদ : তবুও গলায় কার্ডধারী সুপারভাইজার

কর্তৃপক্ষের নির্দেশ উপেক্ষিত

স্টাফ রিপোর্টার ঃ আউট সোসিং কর্মচারী ( লট-৯৫) এ কোন সুপারভাইজার এর পদ নেই। অথচ খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের বহি: বিভাগে মো: আসাদুল ইসলাম আউট সোর্সিং কর্মচারি ( লট-৯৫) কে সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়ায় এবং তার বিরুদ্ধে হাসপাতালের নিকটস্থ বিভিন্ন ল্যাব ও ক্লিনিক সমূহের সাথে যোগসাজস করে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক সুবিধা ভোগের অভিযোগ পায়। এর প্রেক্ষিতে ওই সময়ের খুমেক হাসপাতালে পরিচালক ডা: তরুন মন্ডল হাসপাতালে আউটসোর্সিং ঠিকাদারকে ‘সুপাইভাইজার’ ব্যাখা ও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি পত্র দেন। এরপর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ওই পদকে থেকে আসাদুল ইসলামকে সুপারভাইজার পদ থেকে চিঠি দিয়ে সরিয়ে দেন। এর কিছুদিন যেতে না যেতেই মো: আসাদুল ইসলাম হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের নির্দেশ উপেক্ষা করে গলায় সুপাইভাজার কার্ড ঝুৃলিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ব্যাপারে সদ্য যোগদানকারী খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা: গৌতম কুমার পাল বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। খুমেক হাসপাতালের সূত্র মতে, আউটসোর্সিং ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োগ পদে কোন সুপাইভাজার এর পদ নেই। পদ সৃষ্টি আছে জুমাদ্দান ও সর্দার। ফলে এসব পদ ছাড়া কেউই সুপারভাইজার এর পদে যোগদান বা নিয়োগ দিতে পারবে না।
খুমেক হাসপাতালের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে, মো: আসাদুল ইসলাম, মো: রহিম ও তুহিন সুপারভাইজার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে তাদের ভাষ্য। তবে এভাবে কোন পদ সৃষ্টি নেই। প্রকৃতপক্ষে মো: আসাদুল ইসলাম ওয়ার্ড বয়, মো: রহিমকে সিকিউরিটি গার্ড এবং ওয়ার্ড বয় হিসেবে তুহিনকে আউটসোর্সিং কোম্পানীর মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা এই সব পদে দায়িত্ব পালন না করেই সুপারভাইজার পদে কার্ড ঝুলিয়ে হাসপাতালের চক্কর দিয়ে বেড়ায়। এর মধ্যে মো: আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে নানান অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগীরা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সময় হাসপাতালের পরিচালক ডা: তরুন মন্ডল চলতি বছরের ১ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আউট সোসিং কর্মচারী ( লট-৯৫) এ কোন সুপারভাইজার এর পদ নেই। অথচ খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমে) হাসপাতালের বহি: বিভাগে মো: আসাদুল ইসলাম আউট সোর্সিং কর্মচারি ( লট-৯৫) কে সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়ায় এবং তার বিরুদ্ধে হাসপাতালের নিকটস্থ বিভিন্ন ল্যাব ও ক্লিনিক সমূহের সাথে যোগসাজস কওে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পায়। এর প্রেক্ষিতে ওই সময়ের খুমেক হাসপাতালে পরিচালক ডা: তরুন মন্ডল হাসপাতালে আউটসোর্সিং ঠিকাদারকে ‘সুপাইভাইজার’ ব্যাখা ও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একটি পত্র দেন।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button