খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হাফিজিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের উপর হামলা

লিখিত অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রদের মারধর ও অভিভাবকের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্র মাদ্রাসার শিক্ষক আবেদ আলী শরীফ দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যুৎ কেন্দ্র আবাসিক এলাকায় অবস্থিত হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মারধর ও ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে নাম ডাকার বিষয়ে ওই মাদ্রাসায় পড়ুয়া দুই জমজ শিক্ষার্থীর পিতা এনামুল ইসলাম গত ২৬ এপ্রিল ঘটনার বিষয়ে জানতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। এঘটনায় শিক্ষার্থী ইব্রাহিম ও ইয়াসিন এর মাতা খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত শারমিন সুলতানা ২৭ এপ্রিল এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচার চেয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগ ও ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসা শিক্ষক আবেদ আলী শরীফ শিক্ষার্থী ইয়াসিনকে হনুমান নামে ডাকা সহ বিভিন্ন ছাত্রদের নাম ব্যঙ্গ করে ডাকলে মাদ্রাসার অন্যান্য ছাত্ররাও একে অপরকে শিক্ষকের ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা ঐ নাম ধরে ডাকে। এরই সূত্র ধরে শিক্ষার্থী ইয়াসিনের ধর্মগ্রন্থে তানভীর নামের অন্য এক শিক্ষার্থী ইয়াসিনের নামের সাথে হনুমান লিখে রাখে। এ বিষয়ে মাদ্রাসায় জানতে গেলে ইয়াসিনের পিতা এনামুলের সামনেই শিক্ষক আবেদ আলী তানভীর নামের ছোট্ট ঐ শিক্ষার্থীকে বেদম প্রহার করে। তৎক্ষণাৎ ইয়াসিনের পিতা এনামুল ইসলাম বাধা দিলে আক্রমণাত্মক আচরণ করে তাকেও কিল ঘুষি মারতে থাকে এবং মাদ্রাসা থেকে বের করে দেন। ভুক্তভোগী ওই দুই শিক্ষার্থীর পিতা এনামুল ইসলাম আরো জানান,তার ছেলেদের সাথে বিভিন্ন সময়ে খারাপ ব্যবহার ও মারধর করে শিক্ষক আবেদ আলী। একজন মাদ্রাসা শিক্ষক হয়ে কিভাবে শিক্ষার্থীদের উপর অমানবিক আচরণ করে তা দেখে বিস্মিত তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আবেদ আলীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের প্রতি অমানবিক আচরণের বিভিন্ন ঘটনা রয়েছে বলে জানান জমজ ওই দুই শিক্ষার্থীর পিতা এনামুল ইসলাম। এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষক আবেদ আলী শরীফ মুঠোফোনে জানান, শিক্ষার্থী ইব্রাহিম ইয়াসিনের অভিভাবক এনামুল ইসলাম অভিযোগ নিয়ে আসলে তানভীর নামের ওই শিক্ষার্থীকে তিনি শাসন করেন কিন্তু অভিভাবকের সঙ্গে এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি।