আড়ংঘাটায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ৭জন কারাগারে
স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনার আড়ংঘাটায় চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতাসহ নানা অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় সাতজনকে আদালত কারাগারে প্রেরণ করেছেন। চাঁদাবাজরা হলো-নগরীর দৌলতপুর দেয়ানা মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মৃতঃ শেখ সামসুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান মোজা(৫০), দেয়ানা মধ্যপাড়া সুলতানিয়া মসজিদের পাশের বাসিন্দা মৃতঃ লাল মিয়ার ছেলে চঞ্চল (৩৫), একই এলাকার বাসিন্দা মৃতঃ আমির হোসেনের ছেলে শেখ তাহাজ্জুদ হোসেন(৪৮), ছোট ভাই হাসান শেখ(৪২), একই এলাকার বাসিন্দা মৃত নুর আলীর ছেলে রুহুল কুদ্দুস (৫৫), আড়ংঘাটা কেন্দ্রীয় মসজিদের দক্ষিণপাশের বাসিন্দা মৃত সরু ঘরামীর ছেলে সবুর ঘরামী(৫৫), ছেলে হেলাল ঘরামী (৩৫)। মঙ্গলবার সকালে মহানগর হাকিমের আমলী আদালতের (আড়ংঘাটা) বিচার সুমাইয়া কাওসার তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। বাদীর আইনজীবী মোঃ রকিবুল হাসান মিন্টু এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামী পক্ষে ছিলেন এড. তারেক মাহমুদ তারা। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে উল্লেখ করা হয়, খালিশপুর নতুন কলোনীর এনডি-৭১নং বাসার বাসিন্দা আমির হোসেন ও তার ভাই ডুমুরিয়া উপজেলাধীন রংপুর মৌজায় শলুয়া এলাকায় ০.৩০ একর জমি ক্রয় করেন। সেখানে তারা নানা প্রজাতির ফলজ গাছ রোপন করেন। গত ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল হতে তারা জমি ভোগ দখল করছেন। সেখানে ঘর নির্মাণ করতে গেলে দুর্বৃত্তরা বাঁধা সৃষ্টি করে। তারা তাদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তা সাত দিনের মধ্যে দেয়ার জন্য সময় বেধে দেয়া হয়। চাঁদা না দিলে এখানে ঘর করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয় উল্লেখিত দুর্বৃত্তরা। পরে গত ২ ফেব্রুয়ারী’২৪ দুর্বৃত্ত তাদের লাগানো আম গাছে রাসায়নিক দ্রব্য স্প্রে করে। এ সময় বাদী বাধা দিলে তারা আবারো চাঁদার ৫ লাখ টাকা দেয়ার জন্য হুমকি দেয়। এ সময় বাদী নিরুপায় হয়ে আড়ংঘাটা থানায় এসে অভিযোগ দিলে পুলিশ তেমন কোন সহযোগিতা করেনি। ১৬ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টার দিকে দুর্বৃত্তরা আম গাছগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে থানায় এসে অভিযোগ দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। পরের দিন ১৭ ফেব্রুয়ারী সকালে দুর্বৃত্তরা আম গাছগুলো কেটে ফেলছে। খবর পেয়ে বাদী ঘটনাস্থলে গেলে দুর্বৃত্তদের হাতে রাম, কুড়ালসহ দেশী অস্ত্র দেখতে পান। গাছ কাটার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই দুর্বৃত্তরা তাকে আটক করে মারধর করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা কুড়াল বাদী ঘাড়ের ওপর রেখে ধার্যকৃত পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দিতে ভয়ভীতি দেখায়। ওই সময় দুর্বৃত্ত বাদী পকেটে থাকা নগদ ৩ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এ সময় দুর্বৃত্তরা রোপনকৃত ৭০টি আম গাছ কেটে ফেলে। যার মূল্য পাঁচ লাখ টাকা হবে। কাটা গাছ ও বাদীর নির্মানাধীণ ঘরটি ভেঙ্গে ইঞ্জিন ভ্যানে নিয়ে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে জমিতে প্রবেশ করতে দিবে না বলে হুমকি দিয়ে যায়। এ ঘটনায় আড়ংঘাটা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশের কোন সহযোগিতা না পেয়ে বাদী আদালতে ২৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। শুনানী শেষে আদালত অভিযোগটি আড়ংঘাটা থানার ওসিকে মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য আদেশ দেন। সে মতে, এ অভিযোগ আড়ংঘাটা থাানয় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। যার নং-৪, তাং-৭/৩/২৪ইং। যার জি আর নং-২৬/২৪। বাদী বলেন, ওই এলাকায় আরো পাঁচজন জমির মালিক এই চাঁদাবাজদের কারণে জমিতে ঘর তুলতে পারছে না।