প্রতিটি হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে শ্রমিক ফ্রন্টের মিছিল ও সমাবেশ

খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার বিচার এবং নিহত ও আহতদের তালিকা করে তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবিতে ৯ আগস্ট বিকাল ৫টায় খালিশপুর শিল্পাঞ্চলে মিছিল ও সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট খুলনা জেলা শাখা। ক্রিসেন্ট জুট মিল গেইটে সংগঠনের কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু হয়ে খালিশপুর জুট মিল হয়ে প্লাটিনাম জুট মিলের গেইটে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের খুলনা জেলা সভাপতি শ্রমিক নেতা আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ কোহিনুর আক্তার কণা, সদস্য অ্যাড. সনজিত মন্ডল, রিক্সা সংগ্রাম পরিষদের খালিশপুর থানা সভাপতি ইউনুস আহমেদ মাসুদ, সহ সভাপতি ফিরোজ মোল্লা, সদস্য সচিব রিপন শেখ, সদস্য নুর ইসলাম, আল আমিন, মাসুম বিল্লাহ, রাহাত আহমেদ, পাটকল শ্রমিক নেতা মোশাররফ হোসেন, খাদিজা বেগম, রোজিনা আক্তার, নাজমা বেগম, শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল হাই, জাহাঙ্গীর হোসেন, শেখ ফয়জুল, হাসিবুর রহমান, আতাহার আলী প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুসারে সারাদেশে ছয় শতাধিক মানুষের জীবনহানি আর হাজার-হাজার মানুষের পঙ্গু, আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদের সংখ্যাগরিষ্ট অংশ শ্রমজীবী মানুষ। গণ অভ্যুত্থানের পূর্বে হত্যার প্রকৃত তথ্য গোপনের উদ্দেশ্যে সরকার সংশ্লিষ্টদের অসহযোগিতা আর অভ্যুত্থান পরবর্তী সংকটে বহু মৃতদেহ কোনো রেকর্ড সংরক্ষণ ছাড়াই কবর দিয়েছে। ফলে অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিহত ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় শ্রমজীবী পরিবারগুলি বিচার ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ন্যায্যতা থেকে বঞ্চিত হবে। তাই নিহত ও আহতদের তালিকা প্রকাশ, প্রতিটি হত্যার বিচার, ক্ষতিপূরণ, সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন, সকল শ্রমিকদের কারফিউ ও সাধারণ ছুটির সময়ের পূর্ণ মজুরি এবং চাকরির নিশ্চয়তা নিশ্চিত করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি অবিলম্বে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালু, ৫টি মিলসহ সকল শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ এবং বিজেএমসির দুর্নীতিবাজদের বিচার দাবি করা হয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ব্যাটারী রিকশার জন্য নীতিমালা চূড়ান্ত করা এবং লাইসেন্স দেয়ার দাবি জানান।