নগরীতে স্ত্রীর পরকীয়ার বলি রেমিটেন্স যোদ্ধা
# জীবননাশের হুমকি থানায় মামলা #
ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি ঃ নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার মৃত ইউসুফ আলী পুত্র মোঃ মেহেদী হাসান ২০১১ সালে চাকুরি নিয়ে ওমানে যান, তিন বছর পরে দেশে ফিরে এসে গত ২৯ জুন খুলনার ছোট বয়রার মৃত জালাল উদ্দিনের মেয়ে লিনা আক্তারকে ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবধ্য হয়। বিবাহের পর দুটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করে। রেমিটেন্স যোদ্ধা মেহেদী হাসান বলেন আমি ওমান থাকা কালিন জমি কেনা বাবদ আমার স্ত্রী আমার নিকট জমি কেনা বাবদ টাকা চাইলে আমি স্বরল বিশ^াসে আমার শ্বাশুড়ির ব্যাংক এ্যকাউন্টে কয়েক ধাপে ৪৯ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪৪৫ টাকা পাঠিয়ে দেই। টাকা পাঠানোর পর আমার স্ত্রী আমার সাথে বিভিন্ন অজুহাতে মুঠোফোনে অকাথ্য ভাষায় কথা বলে। এবং খুলনা দিঘলিয়া নগর ঘাট এলাকার আলী হোসেনের ছেলে, মো. তৌহিদুর রহমানের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। এবং আমার শ্বাশুড়ি রওশনার বেগম আমাকে না জানিয়ে আমার স্ত্রীর নামে খুলনা জিপিওতে ৪৫ লক্ষ টাকা ফিকসড ডিপোজিট করে রাখে। পরবর্তিতে আমি দেশে এসে জানতে পারি আমার পাঠানো টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করেনি। তখন শ্বাশুড়িকে বলি আমি আর বিদেশে যাবোনা। দেশে ব্যবসা বাণিজ্য করব বলে আমার পঠানো উক্ত টাকা শ্বাশুড়ির নিকট চাইলে তিনি আমাকে বলেন তোমার টাকা আমার মেয়ে ও তোমার স্ত্রীর (লিনা আক্তার) নামে খুলনা জিপিওতে ফিকস্ট ডিপোজিট করে রেখেছি। তখন আমি আমার স্ত্রীর নিকট জমি ক্রয় করার জন্য উক্ত টাকা চাইলে, টাকা না দিয়ে বিভিন্নভাবে তালবাহানা করতে থাকে এবং বলে ডিপোজিট ভেঙ্গে টাকা দিয়ে দিবো উক্ত টাকা না দিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে ঘুড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার স্ত্রী কৌশলে ২০২৩ সালের ৩মে বিকালে আমার অনুপস্থিতিতে আমার বাসার থেকে পরকিয়া প্রেমিক, মো. তৌহিদুর রহমানের সহযোগিতায় ২০ভরি স্বর্নালংকার ও জিপিওতে রাখার উক্ত ৪৫লক্ষ টাকার সকল ডকুমেন্টসসহ আমার নাবালিকা দুইজন শিশু সন্তান নিয়ে পালিয়ে যায়। মো. তৌহিদের কুপ্রোরচনায় আমার নিকট তালাক প্রস্তুত করে আমার হোয়াটসআ্যপের মাধ্যমে প্রেরণ করে। সেই থেকে অনেক খোজাখুজি করে জানতে পারি মো. তৌহিদুরের সাথে শিরোমণি এলাকায় বসবাস করছে। সেই ঠিকানা অনুযায়ি এসে উক্ত টাকা ও সন্তান ফেরত চাইলে টাকা ও সন্তান ফেরত দিতে অস্বীকার করে এবং বিভিন্ন মামলায় জড়ানোসহ জীবননাশের হুমকি প্রদান করে। এবিষয়ে বৈকালী অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে ও থানায় জিডিসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়ার পর গত ৯ সেপ্টেম্বর খুলনা সিএমএম আদালতে মামলা করার জন্য গেলে আমার স্ত্রীর বর্তমান স্বামীর পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা কতিপয় সন্ত্রাসী বাহীনি আমার উপর হামলা চালিয়ে আমার নিকট থাকা ৭০হাজার টাকা, গলায় থাকা ১ভরি ওজনের চেইন ও ২টি আংটিসহ আমার কাছে থাকা জমিজমার ও মামলার কাগজ পত্র ছিনিয়ে নেয়। এসময় আমি গুরুতর জখম হয় পরবর্তিতে স্থানিয়রা উদ্ধার করে খুলনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। হাসপাতাল থেকে ফিরে সুস্থ হয়ে খুলনা সদর একটি মামলা দায়ের করি যার নম্বর ১৩(০৯)২০২৪। ভুক্তভোগি মেহেদী এব্যাপারে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।