নগরীতে সন্ত্রাসী কর্তৃক ইটবালি ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত : আদালতে মামলা দায়ের

# বালুর ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ নগরীর লবনচরা থানা এলাকায় বালুর ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও সন্ত্রাসী কর্তৃক মোঃ আলী হোসেন নামে এক ইট বালু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গত ২২ নভেম্বর সকাল ১১টায় লবনচরা দারোগালিজ এলাকায় মাহফুজ সার্ভিসিং এর পাশে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় গতকাল (২৪ নভেম্বর) ৭ জনকে অভিযুক্ত ও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাত করে সিএমএম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী নার্গিস বেগম। জানা গেছে, মামলার আসামীরা বাগেরহাট আমলাপাড়া এলাকার মৃতঃ হাজী বেদার উদ্দীন তালুকদারের মেয়ে সুরাইয়া আক্তার(৪৫), লবনচরা জিন্নাহ পাড়া এলাকার কমর উদ্দীন গাজীর ছেলে হাকিম গাজী (৫০), দারোগার লিজ এলাকার আঃ খালেক মোল্যার ছেলে জাহাঙ্গীর মোল্যা(৪০), একই এলাকার মোঃ সরোয়ারের ছেলে মোঃ মাছুম (২৪), মোঃ ছরোয়ার(৫০), দিঘলিয়া পানগাতি এলাকার আবু বককার শেখের ছেলে মোঃ হাসিফ শেখ (৪০) ও একই এলাকার শাহাব উদ্দিনের ছেলে সেলিম শেখ (৪০) সহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জন লবনচরা দারোগালিজ রায়পাড়া স্কুল রোড এলাকার বাসিন্দা আলী হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও আলী হোসেনকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। ভুক্তভোগী মোঃ আলী হোসেন গত ১৯ নভেম্বর ইট বালির ব্যবসার জন্য জমির মালিক নজরুল ইসলাম মনিরের ফাকা জায়গা ৩শ টাকার নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে তিন বছরের জন্য চুক্তি পত্র মুলে নেন। এরপর ইট বালী ব্যবসার জন্য ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পুঁজি খাটিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। হঠাৎ করে আসামী সুরাইয়া আক্তার উক্ত ইট বালীর ব্যবসার ফাঁকা জায়গাটি তার সম্পত্তি বলে দাবী করেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আলী হোসেন চুক্তি পত্রের জমির মালিকের সাথে সুরাহা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু আসামী সুরাইয়া কোন কথায় কর্ণপাত না করে তার দলবল নিয়ে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান সরোয়ারের নেতৃত্বে আলী হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তান্ডব চালান। এসময় তারা আলী হোসেনকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোলা জখম করে। এরপর বাশ, খুটি, টিন ও লোহার তৈরী ঘর ভেংগে নিয়ে যায় আসামীরা। যার আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। সেই সাথে ব্যবসার নগদ ৪০-৪৫ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বাদি নার্গিস বেগম বাড়ী থেকে দৌড়ে ঘটনাস্থলে আসামাত্র আসামী সুরাইয়ার নেতৃত্বে ছরোয়ার তার স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে। যাওয়ার সময় আসামীরা বাদিনীর স্বামীর নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে তাকে জীবন নাশের হুমকি প্রদান পূর্বক জীবনের তরে শেষে করে ফেলবে বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গুরুতর আহত আলী হোসেন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে ভালো না হলে গত ২২ নভেম্বর খুলনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। আলী হোসেনের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিটি স্কীন প্রয়োজন বলে ডাক্তার জানিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে ২৪ নভেম্বর বাদি পক্ষ সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। এরপর ভুক্তভোগীর স্ত্রী খুলনা সিএমএম আদালতে ৩২৩/৩২৪/৩৫৪/৩০৭/৩৭৯/৫০৬/৩৮৫ ধারা মোতাবেক ৭ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।