স্থানীয় সংবাদ

চৌগাছা থানা কর্তার বিরুদ্ধে এক যুবককে ৩২ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

# চাঁদা না পেয়ে তিন মামলায় চালান #

যশোর ব্যুরো ঃ দুই লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ৩২ ঘণ্টা আটকে রেখে বৈদ্যুতিক শক ও শারীরিক নির্যাতন করে পারভেজ হোসেন সোহাগ নামে এক যুবককে মিথ্যা তিনটা মামলা দিয়ে চালান দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যশোরের চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পায়েল হোসেন’র বিরুদ্ধে এমন গুরুত্বর অভিযোগ করেন চৌগাছা উপজেলার মাসিলা গ্রামের ভুক্তভোগীর মা সাফিয়া বেগম।
সাফিয়া বেগম বলেন,গত সপ্তাহে আমার ছেলে একটি মোটরসাইকেল কেনে। শুক্রবার দুপুরে চৌগাছা থানা পুলিশ যেয়ে আমার ছেলে পারভেজ হোসেন সোহাগকে ধরে আনে। পরে থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ জানায় আমার ছেলে মোটর সাইকেট চুরি করে এনেসে। তাকে থানা থেকে মুক্ত করতে ২ লাখ টাকা লাগবে। আর যদি চাহিদা মতো টাকা না দেয়া হয়; তাহলে চুরি, ডাকাতি ও মাদকের মামলা দিয়ে চালান করে দিবে।
তিনি আরও বলেন, গাড়ি কিনা সময় আমার ছেলে ভিডিও করে রাখে। সেই ভিডিও ওসি পায়েলকে দেখায় এবং যার কাছ থেকে গাড়ি কিনা হয়েছে; তাকেও থানায় এনে হাজি করলেও কোন লাভ হয় না। পরে শনিবার রাতে পুলিশ ছেলেকে ফোন ধরিয়ে দিয়ে মারধর করতে থাকে। ফোনে ওপাশ থেকে ছেলে কান্না করতে করতে বলে ‘মা ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ পুলিশ আমাকে বৈদ্যুতিক শক দিচ্ছে, রোড ও লাটি দিয়ে মারপিট করছে। মা আমাকে বাঁচাও।
সাফিয়া বেগম জানান, শেষে আমি দেড় লাখ টাকা দিতে চাইছি। কিন্তু ওসি পায়েল রাজি হয়নি। বরং আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে। আমার মেয়ের সম্পর্কে খারাপ কথা ও গালিগালাজ করতে থাকে। পরে রোববার রাতে আমার ছেলেকে ৩২ ঘণ্টা পর মোটরসাইকেল চুরি, ডাকাতি প্রস্তুতি ও তিন কেজি গাজা দেখিয়ে চালান দিয়ে দেয়। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জানাচ্ছি। আমি ওসি অপকর্মের বিচার চাই। এ বিষয়ে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পায়েল হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন ,দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি আপনার কাছে অভিযোগ মনে হলেও আমার কাছে এটা কিছু না। সোহাগ একজন মাদক বিক্রেতা ও মোটরসাইকেল চুরি সাথে জড়িত থাকায় তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশ ভাল কাজ করছে কিছু ব্যক্তি আছে সমালোচনা করার জন্য। টাকা দাবির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button