উপকুলীয় জেলা বাগেরহাটে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি : তাপমাত্রা ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ উপকুলীয় জেলা বাগেরহাটে অবশেষে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত বাগেরহাটের তাপমাত্রা ছিল ১২.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তীব্র শীতের প্রকোপে এ জেলার জনজীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। শনিবার দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি এই জেলায়। এই পরিস্থিতি আরো ২/১ দিন থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। আর তীব্র শীতে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন বোরো ধান চাষী, দিন মজুর খেটে খাওয়া মুনুষেরা। অতিরিক্ত শীতে ধানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান কৃষকরা। অপরদিকে দীর্ঘ বছর পর প্রচন্ড শীতে এ অঞ্চলে খেজুরের রসের মান ভাল হচ্ছে। জেলার কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস ছালাম বলেন, বোরো ধান চাষের জন্য এখনই মূলত জমি লাগানোর সময়। কিন্তু প্রচন্ড শীতে জমিতে নামা যাচ্ছে না। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে। দুপুর পর্যন্ত সূর্য ওঠেনি। এভাবে থাকলে ধানের ক্ষতি হতে পারে। বাগেরহাট শহরের রিকশাচালক আফজাল বলেন, পেটের টানে রিকশা নিয়ে বের হইছি। শীতে লোকজন তেমন বাইরে বের হচ্ছে না। তাই যাত্রী কম, আয়ও কম। খেজুর গাছ কেটে রস বের করার কাজে নিয়োজিত আবুল হোসেন সু-খবর দিয়ে বলেন, শীতে সবকিছুর সমস্যা হলেও, খেজুর গাছে রস বেড়েছে। রসের মানও ভাল। শীতের তীব্রতা নিয়ে দরিদ্র মানুষেরা বলছেন, বিগত বছরে শীতের সময় বিনামুল্যে কম্বল পেতাম এ বছর কেহ কম্বল দেয় নাই। বাগেরহাটের বিশিষ্ট ঠিকাদার মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও কিছু কম্বল দরিদ্র মানুষদের দিয়েছি। বাগেরহাটের মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ জানান, শনিবার সকাল পর্যন্ত বাগেরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আরো দুই থেকে তিন দিন ধরে থাকবে।