স্থানীয় সংবাদ

ঘন কুয়াশা ও তিব্র শীতে কাপছে খুলনা

# আগামী ২-৩ দিনে আরও তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা #

কামরুল হোসেন মনি ঃ
বছরে প্রথম সপ্তাহে ঘন কুয়াশা ও তিব্র শীতে কাপছে খুলনাঞ্চল। গত শুক্রবার থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিলো খুলনা। সে সাথে কনকনে ঠান্ডা বাতাসে থাকায় কেউ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। গতকাল রোববার (৫ জানুয়ারি) খুলনায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন শনিবার রের্কড করা হয় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিনের চেয়ে খুলনায় তাপমাত্রা দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিলো। আর শুক্রবার খুলনায় তাপমাত্রা ছিলো ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতিদিনই পারদের মতো খুলনায় তাপমাত্রা উঠা নামা করছে। খুলনার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবীদ মো: মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল রোববার খুলনায় দুপুর ৩টা পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মোংলায় ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সাতক্ষীরায় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যশোরে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, চুয়াডাঙ্গায় ১২ ডিগ্রি, কুমারখালীতে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং কয়রা ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রের্কড করা হয়েছে। তিনি বলেন, এর আগের দিনের চেয়ে খুলনায় দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কম ছিলো। এছাড়া গত দিনের চেয়ে সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কয়রায় দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কম রের্কড করা হয়েছে। তিনি বলেন, আজ ( সোমবার) ও মঙ্গলবার এই দুই দিনে তাপমাত্রা একটু বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এরপর থেকেই আবারও খুলনায় তাপমাত্রা কমার সম্ভনা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রোববার দুপুর ৩টা পর্যন্ত দেশের মধ্যে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার থেকে খুলনায় সূর্যের তেমন দেখা মেলেনি। গতকাল ভোর থেকেই খুলনায় কুয়াশায় ঘেরা ছিলো। সেই সাথে কনকনে বাতাসে শীতের তিব্রতা আরও বেড়ে যায়। খেটে খাওয়া মানুষেরা জীবিকার তাগিদে তিব্র শীতে বের হচ্ছেন। তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি হিমেল হাওয়ায় কারণে শীতে মানুষ কাবু হয়ে যাচ্ছেন। শীতের কাপড় কিনতে ফুটপথে ভিড় করছেন হতদরিদ্র মানুষেরা। দামও আগের চেয়ে বেশি বলে তাদের অভিমত। নগরীতে ইজিবাইক চালক মো: আলমগীর বলেন, ভ্যানে করে শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। সেখান থেকে একটি সোয়েটার ৪০০-৪৫০ টাকায় দাম চাচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে দাম একটু বেশি। তিনি বলেন, গত বছর একই মানের সোয়েটার তিনি কিনেছিলেন মাত্র ২৫০ টাকায়। দাম দর করে পত্তায় না পড়ায় তিনি আর কেনেননি। নগরীর ডাকবাংলো সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভিন্ন মৌসুম ব্যবসায়ী বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় নিয়ে বিক্রি করতে দেখা যায়। শীত বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের আনাগোনাও ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিকে শীতের তীব্রতার কারণে ঠা-াজনিত নানা রোগের প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডাক্তারদের চেম্বারে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডা-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। হঠাৎ জ্বর-সর্দি কাশিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হঠাৎ ঠান্ডায় শিশু ও বয়স্করা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button