স্থানীয় সংবাদ

খুলনায় স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে আবাসিক হোটেলে রাতযাপন গভীর রাতে কথিত স্ত্রীর ধারালো ব্লেডে স্বামীর লিঙ্গ কর্তন

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা এক আবাসিক হোটেলে শহিদুল (৪০) নামে এক ব্যক্তির লিঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটেছে। কথিত স্ত্রী আয়শা বেগম নামে এক মহিলা এ ঘটনা ঘটায়। গুরুত্বর আহত শহিদুলকে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে সার্জারি ৯-১০ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
খুলনা মহানগরীর ফেরিঘাট মোড়ে অবস্থিত মৌসুম আবাসিক হোটেলের মালিক লাল মিয়া ঘটনার সম্পর্কে বলেন, শহিদুল ও আয়শা নমে দুইজন স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে রুম ভাড়া নেন। আমার ভাগ্নে কাইয়ুম রাতে হোটেলে ছিলো। সে আমাকে জানায়, রাত আড়াইটা দিকে শহিদুল ও স্ত্রী পরিচয়ে আয়শা নামে ওই মহিলা এক সাথে বের হচ্ছিলো। তখন শহিদুলের পায়জামায় রক্ত মাখা দেখে জানতে চাইলে ভাগ্নেকে সে বলে তার পাইলস আছে। সেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছে। এখনি হাসপাতালে যেতে হবে এই বলে তারা দুইজনে হোটেল থেকে বেরিয়ে যান।
খুমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৩টার দিকে শহিদুল খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। তার শরীর থেকে লিঙ্গ বিচ্ছিন্ন ছিলো। তাকে হাসপাতালে ৯-১০ সার্জারিতে ভর্তি করা হয়েছে। তবে শহিদুলের সাথে থাকা আয়শা নামে ওই মহিলাকে পাওয়া যাচ্ছে না। শহিদুল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ওই মহিলার নাম বলে মরিয়ম। তবে হোটেলে লিপিবদ্ধ খাতায় তার নাম উল্লেখ করা হয় আয়শা।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা: মো: শামীম উজ জামান বলেন, শহিদুল এখন আশংকামুক্ত। ধারালো ব্লেডের আঘাতে তার লিঙ্গটি চামড়ার সাথে ঝুলে ছিলো। এমন অবস্থায় তিনি হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। তবে লিঙ্গটি কেটে ফেলতে হবে না রাখা যাবে সে বিষয়ে আজ (শনিবার) চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
খুলনার থানা ওসি শেখ মুনীর-উল-গিয়াস বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আবাসিক মৌসুম হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দুইজন হোটেলে ওঠেন। সেখানে শহিদুল নামে এক ব্যক্তির লিঙ্গন কর্তন করেন সাথে থাকা মহিলা আয়শা। পরে জানতে পারি শহিদুল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ এখনো অভিযোগ দেয়নি। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতিছি।
জানা যায়, শহিদুলের দুই বিয়ে। প্রথম স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সেই ঘরে একটা মেয়ে আছে। পরে দ্বীতিয় বিয়ে করে। সেই ঘরে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। শহিদুল নড়াইল চন্দরামপুর বেসরকারি আলীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক বলে সে নিজেকে দাবি করেন। সে খুলনায় ওই হোটেলে এ পর্যন্ত ২০ বার বিভিন্ন মহিলাদের এনে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রুম ভাড়া করতেন।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button