স্থানীয় সংবাদ

চাঁদাবাজ ও দখলদার মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দল মত সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

# যোগীপোল ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি সমাবেশ #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে আদর্শ রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য আদর্শ মানুষ প্রয়োজন। তাই জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই আদর্শ মানুষ তৈরীর কাজ করছে। জামায়াতে ইসলামীর ছায়াতলে অসংখ্য আদর্শ মানুষ রয়েছে। ইতোপূর্বে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা এমপি, মন্ত্রী, চেয়ারম্যান হয়ে দেশের বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে নিজেদের নৈতিকতার প্রমাণ দিয়েছে ও আদর্শ মানুষ হিসেবে জনগণের সামনে পেশ করতে সক্ষম হয়েছে। আগামীতে জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সেই ধারা অব্যাহত থাকবে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতা চায় না, চায় দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হোক। ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলেই বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে সোনার বাংলা হবে। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে। উপস্থিত কর্মীদের কাছে তিনি জানতে চান যে, এখনো চাঁদাবাজি চললে এতগুলো জীবন দিয়ে কি লাভ হলো? আপনারা কি আবার দেশে চাঁদাবাজি দেখতে চান? মাঠ থেকে জবাব আসে না। আমরা চাঁদাবাজ ও দখলদার মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজ আর দখলদারীর কোনো অভিযোগ নেই। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে খুলনা মহানগরীর যোগিপোল ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ফুলবাড়িগেটস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
যোগিপোল ইউনিয়নের সভাপতি ইসমাইল হোসেন পারভেজের সভাপতিত্বে খুলনা মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মহানগরী কর্ম পরিষদ সদস্য হাফেজ মোকাররম বিল্লাহ আনসারী, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, দৌলতপুর থানা সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন, জামায়াত নেতা আলাউদ্দিন, আব্দুস সাত্তার, আক্তার হোসেন, নজরুল ইসলাম, আল আমিন, হাফেজ ইলিয়াস, আবু সুফিয়ান, মাসুম বিল্লাহ, আশরাফুল আলম, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, ফয়সাল, হামিদুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, হাফেজ জাকির, সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা ইদ্রিস আলী, নূরে আলম, রবিউল ইসলাম, কাজী মোতাহার, কাজী অয়ন, শেখ আফজাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান উপস্থিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, যে কর্মীরা আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে হুকুমে কাজ করেছে, নেতারা পালিয়ে যাওয়ার সময় কী একবারও তাদের সেই কর্মীদের কথা ভেবেছে? ভাবেনি। কারণ তাদের রাজনীতিই হচ্ছে আমার, শুধু আমার। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ অসংখ্য নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, জেল-জুলুম, নির্যাতন করার পরও জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতাকর্মীদের ছেড়ে পালিয়ে যায়নি বরং কর্মীদের ওপর খুনি হাসিনা যত নির্যাতন চালিয়েছে নেতৃবৃন্দ কর্মীদের পাশে তত বেশি গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের শীর্ষ নেতাদের কাউকে দেওয়া হয়েছে ফাঁসি আবার কাউকে জেলের ভেতরে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিয়েছে। সর্বশেষ শিকার কুরআনের পাখি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
তিনি বলেন, গত জুলাই আগস্টে প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতার জীবন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ৩৪ হাজার মানুষ তারা জীবনের তরে পঙ্গু হয়ে গেছে। ৩শ’র বেশি মানুষ মেরুদন্ডে গুলির আঘাতে প্যারালাইজ হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। জীবনে আর বসতে পারবে না, দাঁড়াতেও পারবে না। নিজের হাতে নিজের কাজ করতে পারবে না। এমনকি নিজের হাতে আল্লাহর দেওয়া রিজিক তুলে খেতে পারবে না।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button