স্থানীয় সংবাদ

বাগেরহাটে চাচাতো ভাই কর্তৃক ব্যবসায়ির ২৩৫ বিঘার ঘের ও খামারবাড়ি দখল

# ১০ কোটি টাকার মাছ ও ফসল লুট #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাগেরহাটে ব্যবসায়ি মোঃ মহিবুল্লাহ মিন্টুর ২৩৫ বিঘা জমির ঘের ও খামারবাড়ি দখল করে নিয়েছেন তারই আপন দুই চাচাতো ভাই। যাতে তার প্রায় ১০ কোটি টাকার মাছ এবং আম ও মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরণের ফল-ফসল রয়েছে। প্রতিবাদ করায় তাকে জীবন নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় রাজনীতি এবং প্রভাবশালীদের কারণে তিনি তার খামারটি উদ্ধার করতে পারছেন না। এ ঘটনায় তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
দখলদারদের ভয়ে পালিয়ে এসে বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বাগেরহাটের কাশিমপুর বাজার গ্রামের মহিবুল্লাহ মিন্টু।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি একজন মৎস্য ব্যবসায়ী। তার বাবা তরফদার মকবুল হোসেন একজন শিক্ষক এবং ডেমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া ও চকপঞ্চমালা মৌজায় তার পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত ১৩৫ বিঘা এবং লীজকৃত আরও ১০০ বিঘা মোট ২৩৫ বিঘা জমিতে বিগত ৩৯ বছর ধরে মালটা, আম, কলা, নারকেল ও সুপারিসহ বিভিন্ন ফলের বাগানসহ মৎস্য চাষ করে আসছেন। খামার বাড়িতে ২ হাজার সুপারি গাছ, ৪০০ পাল্টা গাছ, ৩০০ আম গাছ দু’ শতাধিক কলা ও নারকেল গাছসহ পাকা ঘর ও ডিপ টিউবওয়েল, গরু ও মুরগির ফার্ম রয়েছে। সেখানে তার নামে দুইটি বৈদ্যুতিক মিটারও রয়েছে। ব্যবসায়িক ও পারিবাবিক কারণে তিনি ঢাকায় অবস্থান করেন। এ কারণে ম্যানেজার ও কর্মচারির মাধ্যমে মৎস খামার ও ফলজ বাগান পরিচালনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ১ জানুয়ারি তার মৎস্য ঘের ও ফলবাগানের কর্মচারিদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তা আপন চাচাতো ভাই নাজমুল তরফদার, সোহেল তরফদার ও সোহেল তরফদার সব দখল করে নেয়। দখলকারী নাজমুল তরফদার ডেমা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি, তার ছোট ভাই রাজিব তরফদার ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং তাদের ছোট ভাই সোহেল যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, বর্তমানে প্রকল্পের কাছে গেলে তার কর্মচারি ও তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হমকি প্রদান করছে দখলদার নাজমুল, রাজিব ও সোহেলসহ তাদের পোষা গুন্ডা বাহিনী। এঘটনায় তিনি স্থানীয়ভাবে অনেক চেষ্টা করেও দখলদারদের উচ্ছেদ করতে পারেননি। ফলে গত ৪ জুন বাগেরহাট সদর সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এবং তার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মিন্টু। একই সঙ্গে তিনি পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ডেমা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নাজমুল তরফদারকে ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button