ফরিদপুরে ধর্ষণ-পর্নোগ্রাফি মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মাদারীপুর প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার পলাতক আসামি শাহ আলমকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার শাহ আলমের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামে। গতকাল বুধবার সকালে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরআগে, গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকার পল্লবী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওসি জানান, শাহ আলম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে গাড়ির ভেতরে ধর্ষণ করে ভিডিও চিত্র তার মুঠোফোনে ধারণ করেন। পরবর্তীতে ওই ভিডিও চিত্র দিয়ে ওই মেয়েকে ভয়ভীতি দিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করতে চাইলে মেয়েটি বিষয়টি তার স্বজনদের অবগত করে। তার স্বজনরা জানায়, খোঁজ খবর নিয়ে তারা জানতে পারে যে, ওই শাহ আলম ছাত্র জীবনে একটি স্কুলে খ-কালীন শিক্ষক হিসেবে চাকরি করার সময় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং পরবর্তীতে বিয়ে করতে বাধ্য হন। কিছুদিন পরেই ওই ছাত্রীর কোল জুড়ে জন্ম নেয় এক পুত্র সন্তান। কিন্তু ঢাকায় থাকার সুবাদে শাহ আলমের সঙ্গে সুবাহ নামে আরেক মেয়ের অন্তরঙ্গ সম্পর্কের খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে সম্পর্ক টেকেনি ওই সুবাহর সঙ্গেও। শাহ আলম স্বভাবসুলভভাবেই খুঁজতে থাকেন তার নতুন শিকার। বিয়ে করেন খুলনার ডুমুরিয়া এলাকার জেবাকে। এ ঘরেও জন্ম নেয় এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান। এতেই ক্ষান্ত হননি শাহ আলম, নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচিত হন এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে। নিজেকে শিল্পপতি এবং গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিক বলে পরিচয় দিয়ে ওই ছাত্রীকে প্রলুব্ধ করে ধর্ষণ করে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। ওই ভিডিও চিত্র দেখিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে পুনরায় ধর্ষণ করতে চাইলে ওই ছাত্রী মামলা দায়ের করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা খুঁজে পায় এবং দীর্ঘ চেষ্টার পর শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই শাহ আলম ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত ধূর্ত এবং বদ প্রকৃতির। তারা তার উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন। কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজান বলেন, মামলার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান শাহ আলম। আমরা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান সনাক্ত করে ঢাকার পল্লবী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।