জামিন পেলেন ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা পাওয়া সাংবাদিক রানা

সরেজমিনে জেলগেটে, সাংবাদিকের বাসায় ও প্রেসক্লাবে যান তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক
প্রবাহ রিপোর্ট ঃ ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদ-প্রাপ্ত দেশ রূপান্তর পত্রিকার শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে (৪৫) জামিন দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেবুন নাহার তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আদেশ দেন। আপিলকারী সাংবাদিক রানার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুর রহিম বাদল ও রফিকুল ইসলাম আধার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আরিফুর রহমান সুমন। এদিকে জামিন আদেশের পর সন্ধ্যায় জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেল সুপার হুমায়ুন কবীর খান। জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজার বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল খায়রুমের কাছে সাজা বাতিল ও জামিনের জন্য আপিল দায়ের করেন সাংবাদিক রানার আইনজীবীরা। পরে তিনি তা গ্রহণ ও শুনানির জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেবুন নাহারের আদালতে পাঠান। এর আগে নকলের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে নকলা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নথি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জুডিসিয়াল মুন্সিখানায় এসে পৌঁছে। পরে নকলখানা থেকে সন্ধ্যায় পাওয়া যায় সহিমুহুরির নকল। এর আগে সাংবাদিক রানার ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজার ঘটনায় প্রকাশিত খবরের প্রেক্ষিতে ১০ মার্চ থেকে দুদিনের জন্য সরেজমিন তদন্তে আসেন তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক। ওই সময় জেলা কারাগারে আটক সাংবাদিক রানা, নকলার বাসায় গিয়ে রানার স্ত্রী বন্যা আক্তার ও দশম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে শাহরিয়ার জামান মাহিম এবং নকলার ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন ও ইউএনওর সিএ শিলা আক্তারসহ শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্তের সাথে কথা বলেন।