হামাসের নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইসরায়েলের

নেতা নিয়াহু রাফায় হামলার অনুমোদন দিয়েছেন, এই অনুমোদনের মধ্যে বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নেওয়াও অন্তর্ভুক্ত থাকবে, ১৩ লাখ মুসলিমের আশ্রয় শিবিরে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা, লোক সরিয়ে নেওয়ার কোন সুষ্ঠু পরিকল্পনাই দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র
প্রবাহ রিপোর্ট ঃ ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের দেওয়া নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে দখলদার ইসরায়েল।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) হামাস নতুন প্রস্তাব দেয়। এতে তারা জানায়, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে অসুস্থ, বৃদ্ধ ও নারী জিম্মিদের মুক্তি দেবে তারা। এর বদলে ইসরায়েলকে ৭০০ থেকে এক হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। যার মধ্যে রয়েছেন যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত ১০০ বন্দি। প্রথম ধাপের পর দ্বিতীয় ধাপে সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এরপর স্থায়ী যুদ্ধবিরতির তারিখ ঘোষণা করা হবে। তবে হামাসের প্রস্তাবে রাজি হননি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার সঙ্গে বৈঠক করেন নেতানিয়াহু। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, হামাসের এই নতুন প্রস্তাব ‘এখনো অযৌক্তিক।’ এছাড়া নেতানিয়াহু দখলদার সেনাদের রাফাহতে হামলা চালানোর পরিকল্পনাকে সমর্থন দিয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দক্ষিণ গাজায় রাফাহ অভিযানের অনুমোদন দিয়েছেন। এই অনুমোদনের মধ্যে বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নেওয়াও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। শুক্রবার বিকালে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে তার কার্যালয় এই তথ্য জানিয়েছে। গাজা ছিটমহলে অবশিষ্ট ১৩৪ জন বন্দীকে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি চুক্তি করতে হামাসকে চাপ দিতে ইসরায়েল যে সুবিধা ব্যবহার করেছে তার মধ্যে রাফাহ অভিযান অন্যতম। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রাফাহ এলাকায় অবস্থান করা ১৩ লাখের বেশি ফিলিস্তিনির পরিণতির ভয়ে নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। রাফাহতে অবস্থানকারীদের মধ্যে অনেকে উত্তর গাজায় বোমা হামলা থেকে বাঁচতে সেখানে পালিয়ে গেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা যোগাযোগ উপদেষ্টা জন কিরবি বৃহস্পতিবার বলেছেন, রাফায় বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই একটি বিশ্বাসযোগ্য এবং বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে হবে। বৃহস্পতিবার মার্কিন জাতীয় সুরক্ষা যোগাযোগ উপদেষ্টা জন কিরবি বলেন, বাইডেন প্রশাসন এখনও এ জাতীয় পরিকল্পনা দেখেনি।