আজ শিক্ষার্থীদের ‘রিমেমবারিং দ্য হিরোজ’ কর্মসূচি

প্রবাহ রিপোর্ট : আজ বৃহস্পতিবার ‘রিমেমবারিং দ্যা হিরোজ’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল বুধবার দেশব্যাপী ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনের পর এ কর্মসূচি দেওয়া হয়। এদিন সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক রিফাত রশীদ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। বিবৃতিতে রিফাত রশীদ বলেন, আমাদের দেশ আজ সন্ত্রাসের কালো ছায়ায় আচ্ছন্ন। কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে বর্বর গণহত্যা চালানো হয়েছে। আমাদের ঝলমলে দিনগুলো আজ আঁধারে ছেয়ে গেছে। গণগ্রেপ্তারের আতঙ্কে রাতগুলো হয়ে গেছে আরও অন্ধকার। তিনি বলেন, রাতের আঁধারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চলছে গণগ্রেপ্তার ও গ্রেপ্তার বাণিজ্য। সাধারণ শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের রাস্তায় ধরে মোবাইল তল্লাশি, হয়রানির ও নির্বিচার গ্রেপ্তারের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রতিদিনের চিত্র। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর ক্যাম্পাসের ভেতরে হামলা করেছে পুলিশ। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শ্রদ্ধেয় শিক্ষিকা শেহরীন আমিন মোনামী ও নুসরাত জাহান চৌধুরীর গায়েও হাত তুলেছে পুলিশের কিছু কর্মকর্তা। আমরা এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, এমন ভয়ানক অন্ধকার পরিস্থিতিতে সারাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণপ্রেফতার, হামলা-মামলা, গুম-খুন ও শিক্ষকদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে, জাতিসংঘ কর্তৃক তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে এবং ছাত্র সমাজের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘রিমেমবারিং দ্যা হিরোজ’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার নির্যাতনের ভয়ঙকর দিন-রাতগুলোর স্মৃতিচারণ; শহীদ ও আহতদের নিয়ে পরিবার এবং সহপাঠীদের স্মৃতিচারণ; বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হওয়া নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে চিত্রাঙকন/গ্রাফিতি, দেওয়াল লিখন, ফেস্টুন তৈরি, ডিজিটাল পোট্রের্ট তৈরি; শহীদদের স্মরণে ওপরের যেকোনো কন্টেন্ট/লেখা লিখে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে অনলাইনে ও অফলাইনে প্রচার করবেন। বিবৃতিতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, শ্রমজীবী, ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষের প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি পালনে সর্বাত্মক অংশ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।