সাম্প্রতিক প্রাণহানিতে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের শোক

প্রবাহ রিপোর্ট : কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক প্রাণহানিতে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছে। বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মৃত্যুতে সংগঠনের সব সদস্য সন্তান হারানোর মতো বেদনা অনুভব করছে বলে জানায় সংগঠনটি। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি এই সংগঠন আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করে। একইসঙ্গে দেশবিরোধী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর দ্বারা রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙ্চুর ও সম্পদহানিতে অ্যাসোসিয়েশন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছে। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদও জানিয়েছে সংগঠনটি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আমরা লক্ষ্য করেছি, একটি বিশেষ গোষ্ঠী কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত হয়। ডাটা সেন্টার, ব্রডব্যান্ড লাইন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, সেতুভবন, এক্সপ্রেসওয়ে ও মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজাসহ অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। দুষ্কৃতিকারীদের এই নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রেহাই পায়নি আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অনবদ্য সংযোজন স্বপ্নের মেট্রোরেলও। তাদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্যকে। তারা পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন এই দেশবিরোধী অপশক্তিকে দমন করার জন্যে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে। সংগঠনের প্রতিটি সদস্য এই অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অভিযাত্রা অব্যাহত রাখা এবং ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের সদস্যরা দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানায় সংগঠনটি।



