জাতীয় সংবাদ

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের ব্যাপারে এখনো কথা হয়নি : আসিফ নজরুল

প্রবাহ রিপোর্ট : অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কত দিন হবে তা নির্দিষ্ট করে না জানালেও আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, জনগণের সংস্কারের আকাক্সক্ষা এবং নতুন নির্বাচনের মধ্যে সমন্বয় করে যত দিন থাকার দরকার আমরা তত দিন থাকব। বেশিও না, কমও না। গতকাল শনিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে অফিস করে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রোলিং এবং সরকারের মেয়াদ নিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এটার মেয়াদের ব্যাপারে এখনো কথা হয়নি। তিনি বলেন, দুটো জিনিস মাথায় রাখবেন, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা থাকবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন। সাধারণ মানুষের আকাক্সক্ষা থাকবে এই সরকার যেন জরুরি কিছু সংস্কার করে যায়। আমরা দেখেছি পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে জনগণকে নির্যাতনের উইপন (অস্ত্রশস্ত্র) হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু কিছু ভালো সেবা পেয়েছি, কিছু কিছু ভালো মানুষ আছে। কিন্তু পুরো ব্যবস্থা এমনভাবে দাঁড় করিয়েছিল যে ভিন্নমত পোষণকারী মানুষ, মৌলিক অধিকার চর্চার মানুষের জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলো আতঙ্কে পরিণত হয়েছিল। এই সংস্কারের আকাক্সক্ষা মানুষের আছে। সংস্কারের আকাক্সক্ষা এবং নতুন নির্বাচনের মধ্যে সমন্বয় করে যত দিন থাকার দরকার আমরা তত দিন থাকব। বেশিও না, কমও না। তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে যদি আমি বলি, আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককতার ও উন্মুক্ত ফ্রি জীবন মিস করি। আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে আমি যত তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করব আমি আমার সেই জীবনে ফিরে যেতে পারব, যেটা আমার ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য অনেক বেশি ইনজয়বেল। কিন্তু দায়িত্বের জায়গা থেকে আমি এবং আমার অন্যান্য উপদেষ্টারা যে দায়িত্বের জন্য জন্য আসছি, আমরা সেই দায়িত্ব পালন করব। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভূমিকা তো আপনারা জানেন। এখানে যদি থ্রোব ওভার হোলিং না করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে যে সরকার আসবে তারা তো এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবার সেভাবে ব্যবহার করবে। আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা সুখকর না। বর্তমান ইসির পদত্যাগের কথা বলবেন কি না, প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি স্পেসিফিক্যালি কিছু বলব না। আমি শুধু বলেছি, আপনাদের সব সংস্কার করা হবে। সাইবার নিরাপত্তা আইনে নিজেও আসামি ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনকে ভালোবাসার তো কোনো কারণ নেই। সাইবার নিরাপত্তা আইন কী থাকবে নাকি না এমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের খারাপ আইন, যেটি সংস্কার করা প্রয়োজন বা বাতিল করা প্রয়োজন সেটি আমরা সুচিন্তিতভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করবো। সাইবার নিরাপত্তা আইনে তো আমিও আসামি ছিলাম, কাজেই বুঝতে পারছেন সাইবার নিরাপত্তা আইনকে ভালোবাসার তো কোনো কারণ নেই আমার।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button