জাতীয় সংবাদ

দুদকের জালে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম

প্রবাহ রিপোর্ট : দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেয়র মেজবাহ উদ্দিন মেজু ও নেত্রকোনার মদনপুর পৌরসভার মেয়র মো. আবদুল হান্নান তালুকদারের পৃথক অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুদকের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কামরুল ইসলাম নিজ নামে ও সন্তানদের নামে দেশে-বিদেশে অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। তিনি আইন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে নিম্ন আদালতে অধিকাংশ কর্মচারীর নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন। তিনি দুর্নীতির মাধমে ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম ক্রয় করে সরকারি কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। আরও জানা গেছে, আওয়ামী লীগের এই নেতার নিজ নামে ৪৮/১, আজগর লেনে চারতলা বাড়ি, মিরপুর আবাসিক এলাকায় দুটি ফ্ল্যাট, নিজ নামে মিরপুর হাউজিং এস্টেটে চার কাঠা জমি, নিউ টাউনে ১০ কাঠা জমি রয়েছে। তার দুটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি রয়েছে (ঢাকা-মেট্রো-ঘ-১৫-৭৭০৭ এবং ঢাকা-মেট্রো-ঘ-১২-১৪৩৫)। তিনি নিজ নামে ও আত্মীয়-স্বজনের নামে-বেনামে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন। অন্যদিকে রামগতি উপজেলার মেয়র মেজবাহ উদ্দিন মেজু নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রভাব খাটিয়ে স্বনামে ও তার পক্ষে অন্য ব্যক্তিদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নগদ টাকা; অকৃষি জমি এবং স্ত্রীর নামে জমি; রামগতি পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কাজ না করে ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে বিল উত্তোলন ও বিভিন্ন বাজারঘাট নিজস্ব লোকের কাছে ইজারা দিয়ে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করেন। তার নিজ নামে, স্ত্রী ও অন্য আত্মীয়-স্বজনের নামে-বেনামে সম্পদ অর্জন করেছেন। মদনপুর পৌরসভার মেয়র মো. আবদুল হান্নান তালুকদার বিভিন্নভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে দলীয়/বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে অনিয়ম করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে দুদক সূত্র জানায়। পৌরসভার হাট-বাজার ও স্ট্যান্ডসমূহ যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করে ঘনিষ্ঠজনদের নামে ইজারা প্রদান করেছেন। তিনি ও তার ভাই হাট-বাজার ও স্ট্যান্ডসমূহের ইজারার অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। আরও জানা গেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি মদনপুর পৌরসভার একাধিক জমি কয়েক কোটি টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন এবং একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। তার গ্রামের বাড়িতে কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করেন আলিশান বাড়ি। দুই কোটি টাকা দিয়ে নিজ বাড়িতে প্রায় পাঁচ একর জায়গা ক্রয় করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button