সোহরাওয়ার্দী-নজরুল কলেজে ভাঙচুর : পরীক্ষা স্থগিত

প্রবাহ রিপোর্ট : রাজধানীর পুরান ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে বহিরাগতদের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে কলেজ দুটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাড়ি, ক্লাসরুম, অফিস থেকে শুরু করে হামলা থেকে কোনোকিছুই বাদ যায়নি। এ ছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও হামলার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা পুরো পরীক্ষা শেষ করতে পারেননি। গতকাল রোববার দুপুরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। কয়েক ঘণ্টা পার হলেও পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। জানা গেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে সহপাঠীর মৃত্যুর অভিযোগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীর ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাফিলতির কারণে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলে গত শনিবার তাদের ওপর কবি নজরুল কলেজের কিছু শিক্ষার্থী হামলা করে বলে অভিযোগ করা হয়। এর প্রতিবাদে গতকাল রোববার রাজধানীর প্রায় ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়। তারা হাসপাতালের মূল ফটকের নামফলক খুলে ফেলে। একপর্যায়ে কবি নজরুল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরাও সংঘর্ষে যোগ দেয়। গতকাল রোববার দুপুর ১২টার কিছু সময় পর রাজধানীর প্রায় ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ফটক অবরোধ করে গেট ভাঙচুর করে। পরে সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজের দিক থেকে কিছু শিক্ষার্থী লাঠিসোঁটা নিয়ে এগিয়ে এলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজের দিকে যায়। এ সময় উভয় পাশ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া চলাকালীন পাঁচ ছয়জনকে আহত অবস্থায় রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।