জাতীয় সংবাদ

ফ্যাসিস্টরা ভারতের সহযোগিতায় বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: সাকি

প্রবাহ রিপোর্ট : ফ্যাসিস্ট ও তাদের দেশি বিদেশি দোসররা এখনো তৎপর আছে উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, তারা ভারতে আশ্রয় নিয়ে সেই দেশের গণমাধ্যম, সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশকে সারাবিশ্বের সামনে এমনভাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করছে, যা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। এদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থেকে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরির লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গণসংহতির পক্ষ থেকে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। জোনায়েদ সাকি বলেন, বাহাত্তর সালে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা পত্তন করা হয়েছে সংবিধানের মধ্য দিয়ে, সেই সংবিধান এমনভাবে ক্ষমতা কাঠামো তৈরি করেছে যেখানে সমস্ত ক্ষমতা একজন ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রিভূত করা হয়েছে। গত ৫৩ বছরে অনেক লড়াই হয়েছে। কিন্তু সংবিধানের ক্ষমতা কাঠামোর বদল, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার এবং তার মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, আইনের সংস্কার করা- এই বিষয়গুলো রাজনৈতিক সংগ্রামে আমাদের কেন্দ্রীয় বিষয়ে পরিণত হয়নি। এবারের গণঅভ্যুত্থানের প্রধান বিষয় হচ্ছে, এই রাষ্ট্র ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে, প্রতিষ্ঠান, আইনের সংস্কার করতে হবে এবং একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেখানে ক্ষমতায় যারা যাচ্ছে, তারা জবাবদিহিতাহীন থাকতে পারবে না। তাদেরকে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে, সেই কাঠামো তৈরি করতে হবে। আজকে সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশাকরি অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করবে। সেটাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে সবাইকে সহায়তা করবে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের সংশ্লিষ্ট দেশীয় গোষ্ঠী রাজাকার, আলবদর, আল সামস বাহিনী যেভাবে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের বাছাই করে, টার্গেট করে হত্যা করেছে, আজকে সেই দিন। আমরা আজকের দিনে সকল বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, যারা একাত্তর সালে শহীদ হয়েছে। আমরা একইসাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী যে স্বাধীনতা সংগ্রাম, সেখানে মানুষের জনআকাঙ্ক্ষা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু গত ৫৩ বছরে আমরা দেখেছি, নাগরিকদের জন্য এগুলো প্রতিষ্ঠা হয়নি। বিরাট আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আবার বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, যাতে এদেশে একাত্তরের অঙ্গীকার প্রতিষ্ঠা হবে। আমাদের ছাত্র-তরুণরাও এসেছেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশের দাবি তুলেছেন। সেই লক্ষ্য আবারো স্থির হয়েছে। এখন জনগণকে আমরা আহ্বান জানাই, এই ঐক্য আমাদের ধরে রাখতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ আমরা প্রতিষ্ঠক করতে না পারছি।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button