ব্যানারে নাম ছোট হওয়ায় বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ

প্রবাহ রিপোর্ট ঃ ব্যানারে নাম ছোট হওয়াকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নেতাকর্মীদের লাঠি ও ধারালো অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা গেছে। গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের কুঠিবাড়ি সড়ক, থানা মোড় ও বাজার সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, ব্যানারে ছোট অক্ষরে নাম লেখাকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক কবির আহমেদ এবং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক আহম্মেদের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক আহম্মেদ বলেন, ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানের ব্যানারে লেখা নাম ছোট অক্ষরে হওয়ায় ফারুক কবির আহমেদের সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হন। একপর্যায়ে ব্যানারটি তারা খুলে ফেলেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরবর্তী সময়ে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করলে আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করেন ফারুকের সমর্থকরা। এ সময় আমরা তাদের ধাওয়া করি। এ ছাড়া অন্য কোনও ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে বক্তব্য জানা যায়নি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক কবির আহমেদের। এমনকি তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে, কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার পর লাঠি ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেন নেতাকর্মীরা। এরপর মহাসড়ক ও বিভিন্ন মোড়ে তাদেরকে অস্ত্র হাতে অবস্থান ও মহড়া দিতে গেছে যায়। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা জানিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম। তিনি বলেন, কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটলেও কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।