জাতীয় সংবাদ

সাকিব আল হাসানকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

প্রবাহ রিপোর্ট : আইএফআইসি ব্যাংকের ৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার ‘চেক ডিজঅনার’ মামলায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। গতকাল রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন। সাকিব ছাড়াও তার অ্যাগ্রো ফার্মের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। আদালতের পেশকার আতিকুর রহমান বলেন, “আজ (রোববার) মামলার আসামি ইমদাদুল হক আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। “অপর আসামি মালাইকা বেগম মারা যাওয়ায় তার মৃত্যু প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। এছাড়া সাকিব আল হাসান ও গাজী শাহাগীর হোসাইন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।” গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিচারক আগামী ২৪ মার্চ দিন ঠিক করেছেন বলে জানিয়েছেন পেশকার আতিকুর।আইএফআইসি ব্যাংকের রিলেশনশিপ অফিসার সাহিবুর রহমান গত ১৫ ডিসেম্বর এই মামলা দায়ের করেন। সেখানে সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি তার কোম্পানি সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম, ফার্মের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন, পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগমকেও আসামি করা হয়। গত ১৮ ডিসেম্বর শুনানি শেষে সাকিবসহ চারজনের নামে সমন জারি করেছিল আদালত।মামলার বাদী সাহিবুর রহমানের ভাষ্য, “সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম ঋণের বিপরীতে দুটি চেক দিয়েছিল। ঋণ শোধ না করায় আমরা টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে দেখি অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা নেই। “তখন নোটিস দেওয়া হয়। তারা কোনো জবাব না দেওয়ায় আমরা আদালতে চেক ডিজঅনারের মামলা করি।” সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের কার্যক্রম মূলত সাতক্ষীরায়। সাকিব এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মামলায় বলা হয়, সাকিবের মালিকানাধীন ওই অ্যাগ্রো ফার্ম ২০১৭ সালে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে এক কোটি এবং টার্ম লোন হিসেবে দেড় কোটি টাকা আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ নেয়। এর মধ্যে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে নেওয়া টাকা সময়মত পরিশোধ না করায় ব্যাংক ওই টাকা মেয়াদি ঋণে পরিবর্তন করে। টাকা ফেরত চেয়ে কয়েক দফা নোটিস দেওয়ার পর সাকিবের কোম্পানি চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ব্যাংককে চার কোটি ১৪ লাখ টাকার দুটি চেক দেয়। কিন্তু অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট টাকা না থাকায় চেক ‘বাউন্স’ করে। পরে ঋণের টাকা ফেরত চেয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের বনানি শাখা নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিস পাঠান। নোটিস পাঠানোর পর ৩০ দিন পার হলেও সাড়া না পেয়ে আদালতে এই মামলা করা হয়। অভিযোগের বিষয়ে সাকিব বা তার কোম্পানির কারও বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button