বিতর্কিত লাইভ নিয়ে মুখ খুললেন সাদিয়া আয়মান
প্রবাহ বিনোদন: রাতে হঠাৎ করেই লাইভে আসেন টিভি পর্দার অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। বেশ কিছুদিন ধরে একটা বাজে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে কেনো এটা হচ্ছে, সেটা জানেন না সাদিয়া। বিষয়টা কয়েক বার তার সঙ্গে ঘটেছে দেখেই ফেসবুক লাইভে এসেছেন তিনি। ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে অভিনেত্রী বলেন, ‘গত কয়েক দিন আগে আমি একটা শুট শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম, তখন রাস্তায় যাওয়ার পথে দেখি পা থেকে মাথা পর্যন্ত একজন কালো কেউ আমার গাড়ির সামনে চলে আসে। এরপর গাড়ি থামিয়ে নেমে দেখি সেখানে কেউ নেই। তখন আমরা নিরাপদে সেখান থেকে বাসায় চলে আসি। তবে বাসার বিপরীত দিকে আবারও সেই ব্যক্তিকে দেখতে পাই।’ এ সময় একটু থেমে সাদিয়া বলেন, ‘আমি কথা বলতে কাঁপছি। কিছুক্ষণ আগেও বারান্দা থেকে দেখেছি সেই ব্যক্তি আমার বাড়ির নিচে দাঁড়িয়ে আছে। এরপর মোবাইলটা হাতে নিয়ে বারান্দায় চলে যান এই অভিনেত্রী। সেখানে গিয়ে লাইভে কালো পোশাকে দাঁড়িয়ে থাকা সেই ব্যক্তিকে দেখিয়ে কাঁদতে থাকেন ও হুট করে লাইভটি কেটে দেন।’ অভিনেত্রীর সেই ফেসবুক লাইভে ভক্তরাও ঘাবড়ে যান। সকলেই তার খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেন। অনেকেই ধারণা করেন, সাদিয়ার সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটেছে। তবে এর কিছুক্ষণ পরই ফেসবুক থেকে লাইভটি সরিয়ে নেন অভিনেত্রী। ঘণ্টাখানেক বাদে একটি ওয়েব ফিল্মের পোস্টার শেয়ার করেন তিনি। স্পষ্ট হয়, ফেসবুক লাইভটি ছিল সেই ওয়েব ফিল্মের প্রচারণার অংশ। এরপরই সাদিয়া আয়মানের ওপর ক্ষুব্ধ হন ভক্তরা। অভিনেত্রীর কা-জ্ঞান নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করতে থাকেন। পুরও বিষয়টি বুঝতে পেরে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করে ফেলেন সাদিয়া। তার প্রচারণার কৌশলটি ভক্তদের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছে, সেটাও উপলব্ধি করেন তিনি। এদিকে নেটিজেনদের তোপের মুখে ‘ফেসবুক লাইভ’ কা-ে অবশেষে ক্ষমা চান অভিনেত্রী। গণমাধ্যমকে সাদিয়া আয়মান বলেন, ‘আমি তো একজন শিল্পী, যেই ওয়েব ফিল্মে কাজ করেছি তারা আমাকে অনুরোধ করে এরকম একটি প্রচারণা চালানোর জন্য। প্রথমে আমি তাদেরকে না বলি। পরে কাজটি করলেও আমার ধারণা ছিল সাধারণ মানুষ হয়তো বুঝবে, এটা কোনো সিনেমা বা নাটকের প্রচারণার অংশ।’ অভিনেত্রী বলেন, ‘দেখুন, এরকম কোনো কাজ আমার আদর্শের সঙ্গে যায় না। তবুও প্রডাকশন হাউজের অনুরোধেই কাজটা করতে হয়েছে।’ ভবিষ্যতে আর এমন কাজ করবেন না উল্লেখ করে সাদিয়া আয়মান বলেন, ‘আমি জানি, এই ঘটনার পরে অনেক মানুষের ভালোবাসা হারিয়ে ফেলেছি। জীবনেও এই ভুল আর কখনো করবো না।’