বিনোদন

প্রেক্ষাগৃহে ইরফান সাজ্জাদের নতুন সিনেমা

প্রবাহ বিনোদন: আজ শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে নতুন সিনেমা ‘ভয়াল’। বিপ্লব হায়দার পরিচালিত এ সিনেমার মধ্য দিয়ে প্রায় সাড়ে সাত বছর পর বড় পর্দায় দেখা যাবে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদকে। সিনেমা ও সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। এই মুহূর্তের ব্যস্ততা কী নিয়ে? এখন সিনেমার প্রমোশন নিয়েই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছি। যেহেতু সিনেমাটি মুক্তির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রমোশন ক্যাম্পেইন করা হয়েছে। যেটাকে ডোর টু ডোর প্রমোশন বলে। এখন অপেক্ষায় আছি দর্শক সিনেমাটি দেখে কেমন ফিডব্যাক দেয় সেটা দেখার। ইতিমধ্যে টিজার, গান উন্মুক্ত হয়েছে। কেমন সাড়া পেলেন? সিনেমাটির গল্প প্রচলিত বাংলা সিনেমার থেকে অনেক ভিন্ন। টিজার মুক্তির পরে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এরমধ্যে গানও এসেছে। দুটো থেকেই বেশ ভালো ফিডব্যাক পেয়েছি, এখনো পাচ্ছি। একটাও নেগেটিভ মন্তব্য পাইনি। যদি প্রমোশনের জন্য আরও বেশি সময় পেতাম তাহলে ভালো হতো। এটা যদি বড় কোনো প্রোডাকশন হাউজের সিনেমা হতো তাহলে আরও বড় পরিসরে প্রমোশন নিয়ে কাজ করতে পারতাম। তাহলে হয়তো-বা এটা বাংলাদেশের বড় ব্যবসাসফল সিনেমা হতে পারত। আজ সিনেমা মুক্তি, অথচ ট্রেইলার প্রকাশ করা হয়নি। এটা কি পরিকল্পিত? না। বিষয়টা তেমন না। ট্রেইলারের সেন্সর হয়নি। এটা এক অদ্ভুত নিয়ম, সিনেমার সেন্সর হয়ে গেছে কিন্তু ট্রেইলারের হয়নি। বাংলাদেশে সিনেমা নির্মাণের চেয়ে মুক্তি দেওয়া কঠিন। টিজার, ট্রেইলার, পোস্টার, সিনেমা— সব কিছু আলাদাভাবে সেন্সর করাতে হয়। এদেশে সিনেমা নির্মাণ হবে কীভাবে? যে দেশে কোনো উৎসব ছাড়া সিনেমা মুক্তি হয় না সেখানে কিছু প্রযোজক একটা প্র্যাকটিসে আসার চেষ্টা করছেন। সেসব সিনেমা মুক্তি দেওয়া যদি কঠিন হয় তাহলে তো ভয়াবহ অবস্থা। সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তি পাওয়া অনেক সিনেমাই ট্রেইলার প্রকাশ করেনি… সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমরা খুব চেষ্টা করেও মুক্তি দিতে পারছি না। সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডে পোস্টার পর্যন্ত আটকেছে, এত ভায়োলেন্স কেন? নারী শিল্পীর হাতে দড়ি কেন? এ-রকম অনেক ইস্যু। সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড হয়েছে ঠিকই তবুও অনেক জটিলতা রয়েছে। ২০১৭ সালের পরে সিনেমা থেকে দীর্ঘ বিরতি… হ্যাঁ, শুধু ভালো সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম। চেয়েছিলাম নিজেকে আর একটু সময় দিতে, অভিজ্ঞতা অর্জন করতে। ওই সময়টাতে নিয়মিত সিনেমা করতে পারতাম তবে আমি যে ধরনের সিনেমা পছন্দ করি, তা হয়তো হতো না। আমার কাছে এটা মনে হয়েছে। এখন সিনেমার পরিবেশ ভালো আছে তাই আবারও দর্শকদের জন্য নতুন কাজ নিয়ে ফিরতে প্রস্তুত আছি। সিনেমাটির চরিত্রে আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং কী ছিল? চ্যালেঞ্জিং তেমন কিছু না। এই চরিত্রের জন্য অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়েছে, এমন না। এই ধরনের চরিত্রে আগে থেকেই অভিনয় করে আসছি। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, গল্পের প্লট ও লোকেশনগুলো অনেক বেশি সুন্দর। তবে সিনেমার শুটিং লোকেশনে কাজ করাটা একটু কঠিন ছিল। অনেক রিমোট এলাকা ছিল। এখন নাটক, ওটিটিতে কাজের ব্যস্ততা কেমন? বর্তমানে একবারে নাটকে কাজ করা হচ্ছে না বললেই চলে। এখন যেগুলো অন এয়ার হচ্ছে সেগুলো আগেই অভিনয় করা ছিল। তবে বিশেষ দিবসকে কেন্দ্র করে ভালো গল্প পেলে কাজ করা হবে। তাছাড়া এই মুহূর্তে কাজের তেমন কোনো প্ল্যান নেই। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন একটি সিনেমার শুটিং শুরু করব। হাতে আরও দুটি সিনেমার কাজ আছে। ইন্ডাস্ট্রিতে ১০ বছর পার করলাম, এখন নিজের ক্যারিয়ারকে আরও ওপরে নিতে চাই। ভালোবাসা দিবসে নতুন কোন নাটকে আপনাকে পাবে দর্শকরা? না। এখন পর্যন্ত কোনো কাজ করা হয়নি। তবে দুয়েকটা বড় প্রজেক্টের কথা হচ্ছে। ভালো গল্প হলে করব। তাছাড়া কোনো পরিকল্পনা নেই। ভালোবাসা দিবসে ২০০-২৫০ নাটক রিলিজ হয়। এত নাটকের ভিড়ে আমি হারিয়ে যেতে চাই না। তাছাড়া আসন্ন ঈদেও আমার আরেকটি সিনেমা মুক্তি পাবে। আমার কাছে মনে হয় দুই নৌকায় পা দিয়ে চলা ঠিক না, চাইও না। তাই নাটক থেকে একটু দূরে থাকতে চাই। বলতে পারেন, এখন সিনেমার কাজ নিয়েই ব্যস্ততা বেশি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button