বিনোদন

টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করতে চান শাবনূর

এফএনএস বিনোদন: একসময়ের জনপ্রিয় তারকা শাবনূর। তবে এখন তিনি অভিনয় কমিয়ে দিয়েছেন। স্থায়ী হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। এখন নিয়মিত পর্দায় না থাকলেও তার জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ছবি-ভিডিও ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন। বলে রাখা ভালো, শাবনূর ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মিডিয়ায় আলোচনায় শীর্ষে ছিলেন। তবে তিনি নিজেকে সব সময় গোপন রাখতে পছন্দ করতেন। তার ব্যক্তিগত জীবন, বিশেষ করে সম্পর্ক এবং পরিবার সম্পর্কে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে। সেসব নিয়ে হ্যাঁ বা না, কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখাতেন না তিনি। এই গ্ল্যামার কুইনকে নিয়ে একসময় স্বপ্নের সুতো বুনতেন অসংখ্য তরুণ। সহশিল্পীকে জড়িয়ে তার প্রেমের গুঞ্জন শোনা গেছে। কিন্তু শাবনূরও কি কারো প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন? অবশেষে অবশেষে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন এই নায়িকা। এ বিষয়ে শাবনূর বলেন, ‘দেশের বাইরের তারকাদের মধ্যে টম ক্রুজ আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দের। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও আছেন সেই পছন্দের তালিকায়। তারা যে আমার ক্রাশ, এটা আমার পরিবারের সবাই জানে। আমার স্কুলপড়ুয়া ছেলেও এটা জানে।’ লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওকে পছন্দের কারণ ব্যাখ্যা করে শাবনূর বলেন, ‘টাইটানিক দেখার পর লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও আমার ক্রাশ। মনে মনে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নায়িকা হতে না চাইলেও ভালো লাগত আরকি! চকোলেট বয় টাইপ ছিল তো! এই টাইপের হিরোরা বরাবরই আমার পছন্দ।’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ক্ষেত্রে ‘চকোলেট বয়’ টাইপের নায়কদের বেছে নেওয়ার কথা জানিয়ে শাবনূর বলেন, ‘আমি সব সময় চকোলেট বয়দের সঙ্গে কাজ করছি। খুঁজে খুঁজে চকোলেট বয় হিরোদের সঙ্গে কাজ করছি। আমার নায়কদের তালিকা দেখলেও তা বোঝা যাবে। যেমন : আমার বেশির ভাগ সিনেমার নায়ক সালমান শাহ, ফেরদৌস, রিয়াজ, শাকিব— সবাই চকোলেট বয়। আমার সব হিরোই চকোলেট বয় টাইপের।’ বুড়ো হয়ে গেলেও টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করতে চান উল্লেখ করে শাবনূর বলেন, “তরুণী থাকতেই মধুমিতায় টম ক্রুজের ‘মিশন ইম্পসিবল’ দেখেছিলাম। এই সিনেমা দেখেই টম ক্রুজের প্রেমে পড়ে যাই। বুড়ো হয়ে গেলেও একবার টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করতে চাই। আমার ছেলেও বলছে, সে বড় হলে আমাকে আমেরিকা নিয়ে যাবে; টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবে। আমিও অধীর আগ্রহে আছি টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করার। সামনাসামনি টম ক্রুজের দেখা পেলে একগুচ্ছ গোলাপ দেব। চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রয়াত এহতেশামের ‘চাঁদনি রাতে’ ছবির মাধ্যমে ১৯৯৩ সালে বড় পর্দায় নাম লেখান শাবনূর। দীর্ঘ ৩১ বছরের ক্যারিয়ারে অসংখ্য ব্যাবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন শাবনূর। তার মধ্যে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বউ শাশুড়ির যুদ্ধ’, ‘হৃদয়ের বন্ধন’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button