আন্তর্জাতিক

রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজা ছাড়ছেন বিদেশিরা

প্রবাহ ডেস্ক : গাজা এবং মিসরের মধ্যবর্তী রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। শুধু বিদেশি এবং আহত গাজার নাগরিকদের যেতে দেওয়া হচ্ছে। বহু আলোচনার পর গত বুধবার শেষ পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয় রাফাহ সীমান্ত। আগে এই সীমান্ত দিয়ে গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানো হলেও বেসামরিক মানুষকে সীমান্ত পার করে মিসরে যেতে দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার গাজার শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েল হামলা চালানোর পর বুধবার ওই সীমান্ত বেসামরিক মানুষের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল। তবে সবাই সীমান্ত পার করতে পারছেন না। বিদেশি নাগরিক এবং গাজার আহত বেসামরিক মানুষদেরই শুধু মিসরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত রাফাহ ক্রসিং পার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৩৫ জন বিদেশি পাসপোর্টধারী রয়েছেন। এ ছাড়া ৭৬ জন আহত ফিলিস্তিনি রাফাহ ক্রসিং পার হয়েছেন। আজ রাফাহ ক্রসিং দিয়ে আরো বেসামরিক মানুষ গাজা ত্যাগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গতকাল প্রথমবারের মতো ৪০০ মানুষ ক্রসিংটি পার করেছে। গাজায় আটকে পড়া জার্মান নাগরিকদের একটি বড় দল বুধবার রাফাহ সীমান্ত পার করে মিসরে প্রবেশ করেছে। কায়রোয় জার্মান দূতাবাসের কর্মীরা সীমান্তে গিয়ে জার্মান নাগরিকদের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। তবে কতজন জার্মান নাগরিক সীমান্ত পার করেছেন তার কোনো সংখ্যা জার্মান দূতাবাসের কর্মীরা সংবাদমাধ্যমকে দেননি। হামাসের হাতে পণবন্দি কোনো জার্মান নাগরিককেও বুধবার ছাড়া হয়নি। তবে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লাগাতার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। এবার দুই রাষ্ট্রের তত্ত্বকে সমর্থন করে বিবৃতি দিলেন তিনি। পোপের বক্তব্য, চলতি সংঘাত এড়াতে গেলে দুই রাষ্ট্রের পরিকল্পনা করতেই হবে। নইলে কোনো পক্ষকেই শান্ত রাখা যাবে না। তবে জেরুজালেমকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এই দুই রাষ্ট্র থেকে আলাদা রাখার কথা বলেছেন তিনি। ইতালির এক টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় স্পষ্ট করে নিজের অভিমত প্রকাশ করেছেন পোপ। তার মতে, অসলো অ্যাকর্ড মেনে দুই দেশ তৈরির সময় এসে গেছে। একমাত্র এই উপায়েই সাম্প্রতিক সংঘাত রুখে দেওয়া সম্ভব। দুইটি বিষয় নিয়ে বিশেষ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পোপ। এক, চলতি সংঘাতে বহু বেসামরিক প্রাণ যাচ্ছে। ৭ অক্টোবরের ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে অ্যান্টিসিমেসিজম বা ইহুদিবিরোধী বিদ্বেষ নতুন করে জন্ম নিচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। দ্রুত এর সমাধান প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button