পাকিস্তানে পৃথক হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৫ সদস্যসহ নিহত ১০
প্রবাহ ডেস্ক : পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশের তিন জেলায় পৃথক তিনটি হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচ সদস্য ও তিন শিশুসহ মোট ১০ জন নিহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার লাক্কি মারওয়াত, উত্তর ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলায় এসব হামলার ঘটনা ঘটে। পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের বন্দুক লড়াই চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৪ বছর বয়সী একজন ক্যাপ্টেন নিহত হন। এ সময় দুই জঙ্গিও নিহত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। জঙ্গি হামলায় সেনাবাহিনীর এক তরুণ কর্মকর্তা নিহত হওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের আরেকটি বন্দুক লড়াইয়ের ঘটনায় সেনাবাহিনীর তিন সৈন্য নিহত হয়েছে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে। অপর হামলার ঘটনাটি ঘটেছে লাক্কি মারওয়াত জেলায়। এখানে এক পুলিশ কর্মকর্তার গাড়িতেপ্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়েছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন, তখন সিন্ধু মহাসড়কের কুররাম সেতুর কাছে অজ্ঞাত হামলাকারীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে ওই পুলিশ কর্মকর্তাসহ পরিবাররটি চার সদস্য নিহত হন। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই গাড়িতে থাকা দুই নারী বেঁচে গেছেন, তাদের শরীরে কোনো আঘাত লাগেনি। তারা চিকিৎসার জন্য টিটারখেল থেকে পেশোয়ার যাচ্ছিলেন। ওই হামলাকারীরা হঠাৎ গাড়ির সামনে এসে তাদের লক্ষ্য করে নির্বিচার গুলিবর্ষণ করে। এতে হেড কনস্টেবল শহিদুল্লাহ (৩৭) ও তার ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী তিন ভাগিনা গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের সবার মৃত্যু হয়। আহত আরেক শিশুকে পেশোয়ারে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে। এ ঘটনার পর পুলিশের একটি বড় দল ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। কুররাম নদীর পাশে একটি ঘন বনের কাছে হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল। এর বাইরে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। জেলার তাপ্পি এলাকায় এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে ওই বাড়ির বাসিন্দা তিন নারী আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।