চাঁদার দাবিতে শিক্ষক দম্পত্তির বাড়িতে সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলা ও গাছ পালা কর্তন

আশ্রয় নিতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ লবণচরা থানাধীন দক্ষিণ হরিণটানা এলাকায় চাঁ
দার দাবিতে এক শিক্ষক দম্পত্তির বাড়িতে সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলা, ভাংচুর ও গাছ পালা কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় গত ৫ জানুয়ারী রাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কয়রা কপোতাক্ষ কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবুল কালাম আজাদ (৫০)। মামলার আসামীরা হলেন, লবণচরা থানাধীন দক্ষিণ হরিণটানা এলাকার মৃত লালমিয়া হাওলাদারের ছেলে মোঃ গোলাম সরোয়ার (৪৫) ও সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার মোঃ সাইদুর রহমান (৫৫)। জানা গেছে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল অনুমান সাড়ে ১১টায় মামলার বাদী লবণচরা থানাধীন দক্ষিণ হরিণটানা এলাকার মোঃ মুছাদেক হোসেনের ছেলে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও তার স্ত্রী কয়রা মদিনাবাদ মডেল সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহঃ শিক্ষক শারমীন আকতারকে তাদের বাড়ীর এক পাশে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসামী মোঃ গোলাম সরোয়ার ও মোঃ সাইদুর রহমান। সেই চাঁদার টাকা না দিলে ওই শিক্ষক দম্পত্তিদের বসতভিটা জবরদখল করবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আসামীদ্বয় অজ্ঞাতনামা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন সময় তাদের বসতভিটা জবরদখলের পায়তারা চালিয়ে আসছে। এরপর গত ৩১ ডিসেম্বর বেলা অনুমান আড়াইটায় আসামী গোলাম সরোয়ার অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে আমার বসতভিটায় প্রবেশ করে গাছপালা কেটে তছনছ করে তার বাউন্ডারী যুক্ত বসতভিটার মধ্যে উত্তর পার্শ্বে পাকা ইটের রাস্তা তৈরী করার চেষ্টা কওে এবং তার জায়গা জবরদখলের অপচেষ্টা করলে সে নিরুপায় হয়ে পুলিশ সদরদপ্তর, ঢাকা এর জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে আসামীদের অন্যায় কার্যক্রম প্রতিহত করে। কিন্তু তারপরেও আসামীদ্বয় তাদের দূরভিসন্ধি ও ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় আবারও গত ৪ জানুয়ারী সকাল অনুমান ৭টায় ১২-১৪ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী সাথে নিয়ে তার বসতভিটায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে তার ঘড় বাড়ী ভাংচুরসহ তার বসতভিটার জায়গার মধ্যেদিয়ে ইটের পাকা রাস্তা তৈরী করার অপচেষ্টার মাধ্যমে তার জায়গা জবর দখলের চেষ্টা করলে সে আবারও ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী আসামীদের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করি। আসামীগন কর্তৃক আমার ঘড়বাড়ী ভাংচুর সহ আমার জায়গা জবরদখলের অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। আসামীদেরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করার জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন। এ বিষয়ে লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষক দম্পত্তির বসতবাড়ীতে গাছ কর্তণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখন পযন্ত থানায় এজহার দায়ের হয়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিব।