আজ মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী
মধু মেলার উদ্বোধন
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি ঃ বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ আধুনিক বাংলা কাব্যের রূপকার অমিত্রাক্ষর ছন্দের জনক ও সনেট প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০ তম জন্মবার্ষিকী ( ১৯ জানুয়ারি)ও মধুমেলার শুভ উদ্বোধন। দিবসটি পালন উপলক্ষে যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিকাল ৫ টায় উদ্বোধন, আলোচনাসভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করবেন চেয়ার অধ্যাপক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চেয়ার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তুহিন হোসেন জানান, বিকাল ৫ টায় জন্মবার্ষিকীর উদ্বোধন শেষে আগামি ২৭ জানুয়ারী পর্যন্ত মধু জন্মোৎসব পালিত হবে। মধুৃমেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী ািদনে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নিবেন যশোর -১ আসনের সাংসদ শেখ ্অফিল উদ্দিন,যশোর-২ আসনের সাংসদ মোঃ তৌহিদুজ্জামান,যশোর-৩ আসনের সাংসদ কাজী নাবিল আহম্মেদ, যশোর-৪ আসনের সাংসদ এনামুল হক বাবুল, যশোর -৫ আসনের সাংসদ মোঃ ইয়াকুব আলী ও যশোর-৬ আসিনের সাংসদ আজিজুল ইসলাম, যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বাংলাদেশ আওয়ামীরীগ যশোর জেলা মাখার সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম মিলন,যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামসান পিকুল ও কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠিানে স্বাগত বক্তব্য রাখেবেন মধু মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও কেশবপুর উপেিজলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তুহিন হোসেন। মহাকবি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন। মাইকেল মধুসূদন দত্তের পিতার নাম রাজনারায়ণ দত্ত, মা জাহৃবী দেবী। শৈশবে সাগরদাঁড়ির পাশে শেখপুরা গ্রামের মৌলভী খন্দকার মখমল সাহেবের কাছে বাংলা ও ফার্সি শিক্ষা লাভ করেন। ১৮৩৩ সালে সাগরদাঁড়ি ছেড়ে কলকাতার খিদিরপুর যান। সেখানে লালবাজার গ্রামার স্কুলে ইংরেজি, ল্যাটিন সহ বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা নেন। কবি ১৮৩৭ সালে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। ১৮৪২ সালে ইংরেজিতে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ প্রবন্ধ লিখে কলেজ থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেন।১৮৪৩ সালের ৯ ফেব্রয়ারি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন কবি। একইসাথে পিতৃগৃহ থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসন নেন। হিন্দু কলেজে পড়তে না পেরে অন্য কলেজে ভর্তি হন ও গ্রিক ও সংস্কৃত ভাষায় জ্ঞানার্জন করেন তিনি। ১৮৪৮ সালে সাগরদাঁড়িতে আসেন। তারপর মাদ্রাজ চলে যান। ১৮৫২ সালে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাইস্কুল বিভাগে শিক্ষকতার চাকরি নেন। ১৮৫৪ সালে দৈনিক ¯েপকটেটর পত্রিকায় সহ-স¤পাদক পদে নিযুক্ত হন। ১৮৫৭ সালে আদালতে দোভাষী হিসেবে কাজ শুরু করেন । এবছরই তিনি মহাকাব্য রচনায় মনোনিবেশ করেন।সাহিত্যিক কালিপ্রসন্ন সিংহের বাসভবনে অমিত্রাক্ষর ছন্দে মহাকাব্য রচনার জন্য বিদ্যোৎসাহিনী সভার পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা এবং মহাকবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ইংল্যান্ডে গিয়ে ব্যারিস্টারিতে ভর্তি হন। মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্য। তার অন্যান্য উলে¬খযোগ্য গ্রন্থাবলী : দ্য ক্যাপটিভ লেডি, শর্মিষ্ঠা, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ, একেই কি বলে সভ্যতা, তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলী, হেকটর বধ ইত্যাদি।১৮৭৩ সালের ২৯ জুন বেলা ২টায় মারা যান মহাকবি মধুসূদন দত্ত। মধু মেলা উদযাপনে মেলার মাঠে কঠোর নিরাপত্তা বলয় থাকছে। মেলাকে আকর্ষনিয় করে তুলতে থাকছে সার্কাস, যাদু, মৃত্যুকুপ, ভ্যারাইটি শো, বিসিক ষ্টল, মনোহারি ও শীতের কাপড় বিক্রির ষ্টল। প্রতিদিন মধু মঞ্চে থাকছে যাত্রা ,সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিদ্বগ্ধ জনদের কবির জীবনির উপর আলোচনা ।