স্থানীয় সংবাদ

খুমেক হাসপাতালে পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি-ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বৈঠকে দাবি মেনে নেয়ার আশ^াসে

স্টাফ রিপোর্টার ঃ সারা দেশের পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানো এবং বকেয়া ভাতা পরিশোধসহ চারটি দাবি আদায়ের কয়েকদিন ধরে চলমান কর্মবিরতি চলছিলো। তাদের সাথে একমত পোষন করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত রাখে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একটি বৈঠক হয়। তারপরই কর্ম বিরতিু প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। গত ২৩ মার্চ সকাল ৯টা থেকে শহীদ মিনার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এ সময় ভাতা বাড়ানো ও বকেয়া ভাতা পরিশোধসহ চারটি দাবি জানান তারা। দাবিগুলো হলো- পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ৫০ হাজার, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ৩০ হাজার করতে হবে। এফসিপিএস, রেসিডেন্ট, নন রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের বকেয়া ভাতা পরিশোধ করতে হবে। বিএসএসএমইউ এর অধীন ১২ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের রেসিডেন্ট এবং নন রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের ভাতা পুনরায় চালু করতে হবে। চিকিৎসক সুরক্ষা আইন সংসদে পাস ও বাস্তবায়ন করতে হবে। তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের কাছে নিজেদের দাবি ও কর্মবিরতির কথা জানান। এ সময় মন্ত্রী আন্দোলনকারীদের সংকট সমাধানের আশ্বাস দেন। এব্যাপারে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ইন্টার্ণ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা: দিবাকর চাকমা গতকাল বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদককে বলেন আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৩০ দিনের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো মেনে নেয়ার আশ^াস প্রদান করেছেন। তারই আশ^াসে আমাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছ্।ে
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ইন্টার্ণ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা: দিবাকর চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক ডা: আসাদুজ্জামান সাগর স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন ভাতা ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা বৃদ্ধির দাবিতে গতকাল ( ২৮ মার্চ) মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ হয়। উক্ত সাক্ষাতে মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশ^াস দেন যে, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করা হবে। এই আশ^াসের ভিত্তিতে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্মবিরতি স্থগিত করেছে এবং সেই সাথে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত সকল ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আজ ( শুক্রবার) ২৯ মার্চ সকাল ৮টা থেকে স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে যোগদান করতে বলা হয়েছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে যদি ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবি বাস্তবায়ন করা না হয় তাহলে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহন করতে বাধ্য হবে। এদিকে খুমেক হাসপাতালে পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস এসোসিয়েশন এর সম্বনয়ক ডা: হেদাইয়াত সৌরভ বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ^াসে আমরা আমাদের কর্মবিরতি স্থগিত করেছি। এদিকে ইন্টার্ন ডক্টরস অফ বাংলাদেশ এর প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, এত দ্বারা সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎকালে সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি ত্রিশ দিনের সময় চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ দিনের জন্য কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষনা করা হল। ফলে আগামীকাল ( আজ শুক্রবার) সকাল ৮টা থেকে ইন্টার্নগন নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরত যাবেন।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button