স্থানীয় সংবাদ

যশোর শহরকে যানজট মুক্ত ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের প্রস্তুতি গ্রহন

ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে

মোঃ মোকাদ্দেছুর রহমান রকি যশোর ঃ ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে যশোর শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে ট্রাফিক পুলিশ ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। যশোর পৌরসভার সহায়তায় শহরে ভারী যানবাহন প্রবেশে শহরের প্রবেশের মুখে ব্যরিকেট দেয়া হয়েছে। তাছাড়া,খোদ শহরের বড় বাজারে প্রবেশ মুখে রিকশা,ভ্যান যাতে ঢুকে যানজট সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য পৌরসভার সহায়তায় বড় বাজারে প্রবেশের মুখে লোহার ব্যরিকেট ফেলা হয়েছে। তাছাড়া, যশোর গোটা শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজট মুক্ত রাখতে দিনরাত ট্রাফিক পুলিশ কাজ করে যাচ্ছেন। তাছাড়া, ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশের অর্ধ শতাধিক কর্মকর্তা ও সদস্যকে মাঠে নামানো হয়েছে। তারা,শহরের বিভিন্ন বিপনী কেন্দ্রের সামনে রীতিমতো অবস্থান নিয়েছেন। যশোর সদর ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে,আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে যশোর শহরের বিভিন্ন সড়ক যানজট মুক্ত রাখতে ইতিমধ্যে রিকশা,ভ্যান ও যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা হিসেবে বাজারে প্রবেশের মুখে লোহার তৈরী ব্যরিকেট ফেলা হয়েছে। যশোর পৌরসভার সহায়তায় যশোর শহরে প্রবেশের মুখে হাইওয়ে সড়ক ছাড়া শহরের বিভিন্ন সড়কের মুখে লোহার ব্যরিকেট ফেলা হয়েছে। যা আগামী ঈদুল ফিতরের পর পর্যন্ত রাখা হবে। সূত্রগুলো জানিয়েছেন,শহরে প্রবেশে মুখে পালবাড়ী রয়েল কমিউনিটি সেন্টার মোড়,মুড়োলী,চাঁচড়া বাজার,চাঁচড়া চেকপোষ্ট খাজুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ যে সড়ক দিয়ে শহরে প্রবেশ করা যায়। সে সড়কের মুখে ব্যরিকেটের পাশাপাশি যশোর পৌরসভা কর্তৃক কমিউনিটি পুলিশ ঈদ উপলক্ষ্যে দিন রাত ডিউটি করবে এমন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশের সাথে জেলা পুলিশের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা ও সদস্য গোটা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সর্বোচ্ছ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন সড়কে ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই,এটিএসআই,কনস্টেবলের পাশাপাশি জেলা পুলিশে কর্মরত কর্মকর্তা ও সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও কোতয়ালি থানা পুলিশের কয়েকটি টহলদল দিনের পাশাপাশি রাতে ও দায়িত্ব পালন করছেন। যেখানে অপরাধী সেখানে পুলিশের উপস্থিতি এখন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট গোটা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে নিয়ম মাফিক রিকশা,ভ্যান,মোটর সাইকেল ও ছোটখাটো যানবাহন চলাচলে দায়িত্ব পালন করেছেন। যাতে শহরে যানজট সৃষ্টি না হয়। যানজট নিরসনে প্রতিনিয়ত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট,টিএসআই,এটিএসআই,কনস্টেবল অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বলে সদর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর প্রশাসন (শহর ও যানবাহন) মাফুজুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। ঈদে কেনা করতে আসা ক্রেতা সাধারণ যাতে যানজটে পড়ে ভোগান্তির শিকার না হয় তার জন্য ট্রাফিক বিভাগে কর্মরতরা সোচ্চার ভূমিকায় লিপ্ত। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের ২০ এর অধিক টিম পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ঈদ উপলক্ষে যাতে ক্রেতা সাধারণ ও ব্যবসায়ীরা শান্তিতে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন তার জন্য জেলা পুলিশের প্রধান প্রলয় কুমার জোয়ারদার যে নিদের্শনা দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে জেলায় কর্মরত পুলিশের ইউনিট গুলি সমানভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। যার কারনে ঈদ উপলক্ষে গোটা যশোর শহর এখন নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা হয়েছে বলে পুলিশের বিভিন্ন সূত্রগুলো দাবি করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button