স্থানীয় সংবাদ

খুলনাসহ বিভাগের ৪ জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে

যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৪০.৬ এবং খুলনায় ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা বিভাগে তাপমাত্রা পারদের মতো ওঠানামা করছে। সোমবার খুলনাসহ বিভাগের ৪ জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ওপরে রয়েছে। এই দিনে বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। এই দুই জেলায় তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং খুলনায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, গতকাল সোমবার দুপুর তিনটার পর খুলনা বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। এরপর রয়েছে খুলনা। তার দেওয়া তথ্য মতে, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনায় ও ইশ^রদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া একই দিনে মোংলা ও কুমারখালী (কুষ্টিয়া) ৪০ ডিগ্রি, সাতক্ষীরায় ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি এবং কয়রায় সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিকে এমন তাপদাহে গরম পারদের মতো ওঠানামা কারণে গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। ছুটছেন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল গুলোতে। বিশেষ করে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এদিকে আমাদের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দক্ষিণের উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা। গরমে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি¡ মিলছেনা। তীব্র গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। জেলা আবহাওয়া অফিস থেকে সোমবার বিকাল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। লবনাক্ততার কারনে গরমের তীব্রতা বেশী অনুভুত হয় এ জেলার সাধারন মানুষের মাঝে। অসহ্য এই গরমে বেশী বেকায়দার পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ গুলো। তারা এই গরমে কাজের জন্য বাইরে বের হতে পারছেন না। অসহনীয় কষ্ট বেড়েছে শ্রমজীবি এসব মানুষের মাঝে। দিন যতই যাচ্ছে গরমের তীব্রতা ততই বাড়ছে। তীব্র এই গরমে দুপুরের আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে শহরের রাস্তাঘাট। মানুষ গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে আশ্রয় নিচ্ছেন ছায়া শীতল গাছতলায়। গরমের তীব্রতায় নাকাল হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। গরমে কিছুটা হলেও পিপাসা মিটাতে মানুষ ভিঁড় করছেন ডাব, শরবত ও আখের রসের দোকান গুলোতে। ভ্যাপসা এই গরমে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরাও। ক্ষতি হচ্ছে তাদের আমসহ বিভিন্ন ফসলের। অত্যাধিক গরমে গাছ থেকে আম ঝরে পড়ে যাচ্ছে। একই ভাবে ক্ষতি হচ্ছে মৎস্য চাষীদের। গরমে বিভিন্ন মৎস্য ঘেরের মাছ মারা যাচ্ছে। সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, সোমবার বিকাল ৩ টায় সাতক্ষীরার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আদ্রতা শতকরা ২২ ভাগ। অপরদিকে, গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল গত শনিবার (২০ এপ্রিল) ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button