যশোরে পিচের রাস্তায় ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধ করায় হামলা : ঘটনায় মামলা
যশোর ব্যুরো ঃ নতুন পাকা পিচের রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধ করায় মাটি ব্যবসায়ী ইমরানসহ তার সহযোগীরা ইউপি মেম্বরের উপর রাগ করে তার ছেলের দোকানে হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত ও এলোপাতাড়ী মারপিট করে জখম করেছে। এ ঘটনায় ইউপি মেম্বর কোতয়ালি থানায় ৫ সন্ত্রাসীর নামসহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন উল্লেখ করে মামলা দিয়েছে। ঘটনাটি যশোর ১০ নং চাঁচড়া ইউনিয়নের রুপদিয়া বাজারস্থ ইউপি মেম্বও সিরাজুল ইসলামের ছেলে জিয়াউর রহমান নিটুল এর দোকানে। আসামীরা হচ্ছে,ওই ইউনিয়নের রুপদিয়ার মুছা করিমের ছেলে ইমরান,সহোদর ইমন, মৃত কেতাব আলী মোড়লের ছেলে মুছা করিম, রুপদিয়া কলোনী পাড়ার আজিবর রহমানের ছেলে মুজিবর ও একই এলাকার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে শফিকসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন।
২০ জুন বুধবার রাতে মামলাটি করেন, ওই গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে ইউপি সদস্য সিরাজূল ইসলাম।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ইমরান মাটির কন্ট্রাক্টর ও বিভিন্ন এলাকা মটি সরবরাহ করে থাকে। তার ৮টি মাটি পরিবহনের ট্রাক আছে। রুপদিয়া দাখিল মাদ্রাসা হতে মাহিদিয়া শেখ পাড়া পর্যন্ত পাকা পিচের রাস্তার বয়স মাত্র ৫দিন। রাস্তার পিচ এখনও কাঁচা রয়েছে। উক্ত নতুন পিচের রাস্তা সম্পূর্ন না শুকানো ও মজবুত না হওয়া পর্যন্ত ভারী যানবাহন চলাচল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সম্পূর্ণ নিষেধ রয়েছে। ইমরান কোন আইন কানুন, আদেশ নির্দেশ না মেনে গায়ের জোরে মাটি ভর্তি ট্রাক উক্ত রাস্তায় চালাচ্ছে। যার ফলে নতুন পিচের কাঁচা রাস্তা ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাদি বর্তমান ইউপি সদস্য হওয়ায় তাকে কয়েকদিন মাটি ভর্তি ভারী যানবাহন চালাতে নিষেধ করেন। এর কারনে গত ১৪ জুন বিকাল অনুমান ৫ টার সময় বাদির ছেলে জিয়াউর রহমান নিটুলকে তার রুপদিয়া বাজারের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে দোকানের সামনে ফেলে খুন করার উদ্দেশ্যে ইমরান ধারালো ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। ইমন বাদির ছেলেকে জাপটে ধরে রাখে। অন্যান্য আসামীরা এলোপাতাড়ীভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকে। নিটুলের ডাক চিৎকারে নিরব হোসেন, শরিফুল,কওসারসহ আরো অনেকে এসে বাদির ছেলেকে ঠেকায়। আসামীরা ঠেতাকে আসা ব্যক্তিদের মারপিট করে। আসামীরা বাদির ছেলে ও তাকে রক্ষা করতে আসা ব্যক্তিদের খুন জখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়। নিটুলের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।